ফের ICDS কেন্দ্রের থেকে বিতরণ করা খিচুড়িতে টিকটিকি উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। কেন্দ্র থেকে খিচুড়ি নিয়ে বাড়ি যেতেই তাতে উদ্ধার হল চতুষ্পদ। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের লোড়পুরের। খবর ছড়াতেই একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। শুরু হয় বমি। তাদের মধ্যে প্রায় ৩০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার লোড়পুরের ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খিচুড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন শিশু ও সন্তানসম্ভাবারা। তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি বাড়িতে খিচুড়ি খেতে গিয়ে তাতে টিকটিকি দেখতে পান বলে অভিযোগ। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই খিচুড়ি যারা খেয়েছিলেন তারা বমি করতে শুরু করেন। তাদের মধ্যে ৩০ জনকে ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
হাসপাতালে এক মহিলা জানান, আমি খিচুড়ি খেয়ে ফেলেছিলাম। তখন শুনি খিচুড়িতে টিকটিকি পাওয়া গিয়েছে। তার পরই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করি। কী ভাবে টিকটিকি এল জানি না। রোজই তো ওখান থেকে খিচুড়ি খাই।
খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন বিডিও। তিনি বলেন, ‘সবাই মোটামুটি স্থিতিশীল। টিকটিকি পড়ার ব্যাপারটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ তবে খাবারে টিকটিকি পড়ার কথা অস্বীকার করেছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রাঁধুনি। তিনি বলেন, খাবার দেওয়ার সময় তেমন কিছু দেখিনি। বাড়ি গিয়েও টিকটিকি পড়ে থাকতে পারে।