বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন এলাকাবাসীরা। যে কারণে দীর্ঘদিন ধরে তৈরি করা হচ্ছে না রাস্তা। শুধু তাই নয়, রাস্তা তৈরি করলে নাকি তৃণমূল নেতার পুকুর ছোটো হয়ে যাবে। এমনই অভিযোগ তুললেন দাইঘাট পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। পুরভোটের আগে এই ধরনের অভিযোগে যথেষ্ট অস্বস্তিতে তৃণমূল।
ওই ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত গোপালনগরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৯৮৪ সালে সেখানে একটি পুকুর কেটেছিলেন তৃণমূল নেতা গৌতম চন্দ্রের বাবা পরমানন্দ চন্দ্র। পুকুরের ওপারে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন ওই বাসিন্দারা। তাঁদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য পুকুর কাটার সময় দলিলে রাস্তার উল্লেখ করেছিলেন পরমানন্দ চন্দ্র। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় তাঁর মৃত্যুর পর থেকে। পুকুরের পাড় ক্রমেই ভাঙতে ভাঙতে উল্লিখিত রাস্তাটিও মিশে যায় পুকুরের সঙ্গে। যে কারণে বাসিন্দাদের যাতায়াতের রাস্তা এখন নেই বললেই চলে। ফলে কখনও হাঁটুজল আবার কখনও কোমর জল পার করে তাদের প্রয়োজনীয় কাজে যেতে হয়।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে তাদের এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা। রাস্তা তৈরি-সহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে তারা পুরসভার কাছেও আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু,তাতে কোনও লাভ হয়নি। উলটে তাঁদের বলা হয়, বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য রাস্তা হবে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। পাশাপাশি, পুকুরের অংশ ছোট হয়ে যাওয়ার কারণে গৌতম চন্দ্র রাস্তা তৈরিতে বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
তবে এ বিষয়ে পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পুর প্রশাসক শিশির কুমার মণ্ডল দাবি করেন, 'স্থানীয়দের কথা ভেবে রাস্তা তৈরির জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।' যদিও এ নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। তাদের বক্তব্য, 'এলাকাবাসীদের গায়ে তৃণমূল থাকলে এতদিন রাস্তা রাস্তা হয়ে যেত। '