সম্প্রতি ডোমজুড়ে প্রাক্তন বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলে না ফেরানোর ব্যাপারে এলাকা জুড়ে পোস্টার পড়েছিল।এবার নোয়াপাড়ার এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিংকে না ফেরানো নিয়ে অভিমত পোষণ করল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।উল্লেখযোগ্য বিষয়, এই দুই নেতাই বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন।ভোটের পর তৃণমূল ফের ক্ষমতায় এলে এই নেতারই সুর বদলাতে শুরু করে।
নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা সুনীল সিংয়ের মতে, মুকুল রায় বড় মাপের নেতা। তিনি চলে যাওয়ায় বিজেপির ক্ষতি হবে।বিজেপিতে থেকে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের এই ধরনের মন্তব্যে স্থানীয় রাজনীতির অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।প্রশ্ন উঠছে, তিনি কি তাহলে আবার তৃণমূলের দিকে পা বাড়াবেন?এই প্রশ্ন এখন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।সম্প্রতি গারুলিয়া শহরের তৃণমূল সভাপতি পঙ্কজ দাস জানান, সুনীল সিং তৃণমূলে ফিরতে চাইলে তার বিরোধিতা করা হবে।যদিও এই প্রসঙ্গে অবশ্য সুনীলের দাবি, তিনি বিজেপি ছাড়ার কথা বলেননি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে ডোমজুড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরার বিরোধিতা করে পোস্টার পড়েছিল।রাজীবের বিরোধিতা করে মুখ খুলেছিলেন ওই কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ।শুধু তাই নয়, মুকুল রায় তৃণমূলে চলে আসার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ সব্যসাচী দত্তের তৃণমূলে আসার সম্ভাবনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।তবে এই বিষয়ে সব্যসাচীকে হারানো বর্তমান বিধায়ক সুজিত বসুর প্রবল আপত্তি রয়েছে, তা হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।দল তাঁর মতামত চাইলে সেকথা দলের অন্দরে বলবেন তিনি। তবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, দলে গদ্দারদের নেওয়া হবে না।নির্বাচনের আগে যারা দলের বিরুদ্ধে কটূকথা বলেছেন, তাদের দলে কোনও স্থান নেই।এখন দেখার ওই সব দলবদলুদের নিয়ে কী অবস্থান নেয় তৃণমূল।