কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল কালীপুজোর সময় যদি লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখা যায়। কিন্তু দেখা গেল, অন্যান্য কাজের দিনের মতোই শনিবার ট্রেন চালিয়েছে পূর্ব এবং দক্ষিণ–পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। হাওড়া–শিয়ালদহ শাখায় গত দু’দিনে ট্রেনের সংখ্যা ব্যস্ত সময়ে বাড়িয়ে প্রায় ১০০ শতাংশের কাছাকাছি করা হয়েছে।
শনিবার কালীপুজোর দিনে উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়েনি। শিয়ালদহ থেকে বারাসত, বনগাঁ, নৈহাটি, রানাঘাট, শান্তিপুর, ক্যানিং এবং বজবজের মতো শাখায় যত ট্রেন ছেড়েছে তার বেশিরভাগই ছিল ফাঁকা। হাওড়া থেকে রাত ১১টা ১৫ মিনিট এবং শিয়ালদহ থেকে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে অন্তিম ট্রেন ছাড়লেও তাতেও যাত্রীদের ভিড় ছিল না।
বনগাঁ থেকে প্রতিবছর অনেকেই কালীপুজোর রাতে বারাসত বা মধ্যমগ্রামে আসেন বহু মানুষজন। এবার সেই ভিড় চোখে পড়েনি। বনগাঁর বাসিন্দা সুদীপ্ত কুমার নাগ বলেন, ‘ভিড় এড়াতেই এবার কোথাও যাচ্ছি না। বারাসতে বিগ বাজেটের পুজোও হচ্ছে না।’ বসিরহাটের পিনাকী ঢালি, বিমল সাহা বলেন, ‘এবার ছোট করে হচ্ছে পুজো। তাই এবার প্রতিমা দেখার উৎসাহ কম। কোথাও যাচ্ছি না।’ কলকাতার পুজো দেখার ভিড় এবার তেমন চোখে পড়েনি। কলকাতার দিকে ট্রেনে ভিড় বাড়েনি। শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট, শান্তিপুর, গেদে বা কৃষ্ণনগর লাইনের আপ ও ডাউন ট্রেন শনিবার অন্য দিনের তুলনায় ফাঁকা ছিল। লালগোলা প্যাসেঞ্জারও তাই।
লোকাল ট্রেন ধরে কালীপুজো দেখতে আসা বা অন্যত্র যাওয়ার ছবি দেখা যায়নি বর্ধমানে। এদিন সকালের পর থেকে স্টেশন চত্বর ফাঁকাই ছিল। কিছু যাত্রী কালীপুজো ও ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছেন বলে খবর। হুগলির পান্ডুয়ায় কালীপুজো দেখতে প্রতিবারই ট্রেনে করে বহু মানুষ আসেন। এবার সেখানেও ভিড় নেই। অনর্থক ভিড় না বাড়ানোর জন্য যাত্রীদের মানসিকতার প্রশংসা করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ।