লোকাল ট্রেন বন্ধ। কারণ এখান থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা সংক্রমণ। আর লোকাল ট্রেন বন্ধ হতেই ফের দেখা গেল হাওড়া–শিয়ালদহে শশ্মানের নীরবতা। শুনশান প্ল্যাটফর্ম চত্ত্বর। দেখা নেই নিত্যযাত্রীদের। প্রথম লকডাউনের চেহারা নিল স্টেশন চত্ত্বর। দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে আংশিক লকডাউনে ফিরে এল সেই স্মৃতি। বেলা বাড়তেই কিছু নিত্যযাত্রী লোকাল ট্রেন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন।
খড়্গপুর রেল ডিভিশন জুড়েই দুর্ভোগের চিত্র সব থেকে বেশি দেখা গিয়েছে। এই শাখায় রোজ বিপুল সংখ্যক যাত্রী কলকাতা যাতায়াত করেন। সেখানে খড়্গপুর স্টেশন সকাল থেকে ফাঁকাই ছিল। টিকিট কাউন্টার, প্ল্যাটফর্ম, ফুটব্রিজ থেকে স্টেশন চত্বর ছিল নো ম্যানস ল্যান্ড। তবে ঢুকেছে দূরপাল্লার ট্রেন। আর লোকাল ট্রেনের অভাবে যাত্রী ভোগান্তির ছবি।
লোকসানে চলা বন্ধ হয়েছে টাটা–হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেসও। লোকাল ট্রেন বন্ধে বিপদে পড়েছেন ট্রেনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নানা পেশার মানুষ। খড়্গপুর স্টেশনের বাইরে অটো চালক নিমাই দে বলেন, ’আবার লকডাউনের মতো অবস্থা হল। এখনও একজন যাত্রী পাইনি। মালিককে কোথা থেকে দিনের ২০০ টাকা ভাড়া দেব।’ স্টেশন লাগোয়া ফল বিক্রেতা নিতাই দাসের কথায়, এবার ভিক্ষা করতে হবে। যা দেখতে পাচ্ছি। একটাও ফল বিক্রি হয়নি। সংসার চালাবো কি করে!
তবে ইস্টকোস্ট এক্সপ্রেসে খড়্গপুরে পৌঁছনো হায়দরাবাদে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার শুভ্র রায় বলেন, ‘আমার বাঁকুড়ায় বাড়ি। এক্সপ্রেসের টিকিট না পেয়ে বাসে যেতে হবে। কখন বাড়ি ফিরব জানি না।’ রাস্তাঘাটও বেলা বাড়তে শুনশান হয়ে যাচ্ছে। সেখানে বেসরকারি বাসে ভিড় হচ্ছে। আবার করোনার জেরে অনেকেই রাস্তায় গাড়ি নামাননি। ফলে সবমিলিয়ে দুর্ভোগ চরমে।