জেলায় প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চাকা গড়াল প্রায় সাড়ে আট মাস পর। বুধবার থেকে জেলাগুলির মধ্যে ট্রেন চলতে শুরু করল। সুতরাং যোগাযোগ বাড়ল। তবে সংখ্যাটা কম। বরং স্পেশ্যাল তকমা জুড়ে বহু ট্রেনের ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। যা নিয়ে নিত্যযাত্রীদের ক্ষোভ তুঙ্গে উঠেছে। সঠিক সময়ে লোকাল ট্রেন না পাওয়ায় এই ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতি কীভাবে পালটাবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
তবে এই পরিষেবা চালু হওয়ায় বীরভূম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদের মানুষজনের সুবিধা হল।বর্ধমান–রামপুরহাটের মধ্যে চার জোড়া, কাটোয়া–আজিমগঞ্জের মাঝে চার জোড়া, আজিমগঞ্জ–রামপুরহাটের মধ্যে তিন জোড়া, রামপুরহাট–গুমানির মাঝে চার জোড়া ও রামপুরহাট–জসিডির মাঝে একজোড়া ট্রেন চালু হয়েছে। তবে রামপুরহাট থেকে বিহারের তিনপাহাড় পর্যন্ত একটি মাত্র ট্রেন দেওয়ায় বীরভূমের মুরারই, রাজগ্রাম–সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন অসুবিধার মধ্যে পড়ে রইলেন।
লালগোলা প্যাসেঞ্জার চালু না হলেও লালগোলা যাওয়ার জন্য ভাগীরথী এক্সপ্রেস চালু হয়েছে। তবে স্পেশ্যালের তকমা দিয়ে ভাড়া বাড়িয়েছে রেল। সব সংরক্ষিত আসন। ভাড়া বেড়ে সিটিংয়ের চার্জ ১১৫ টাকা। এসি চেয়ার কার ৪৮০ টাকা হওয়ায় যাত্রীরা অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। রেলের এই ভাড়া বাড়ানোর পদ্ধতিকে অনৈতিক বলে দাবি করেছে রেলের কর্মী সংগঠন।
পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, ‘ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কোচিং অ্যাসোসিয়েশন রেল বোর্ডের নির্দেশে ফেয়ার টেবিল তৈরি করে। বাজার যাচাই করার পাশাপাশি কোন শ্রেণির যাত্রী ট্রেনে চড়বেন তা যেমন দেখে, তেমনই সার্ভিসের জন্য ব্যবসার জন্য তা দেখে ফেয়ার টেবিল বানায়। ফেয়ার টেবিল ছাড়াই এবার ট্রেনের ভাড়া বেড়েছে।’ ২০ নভেম্বরের পর চালু ট্রেনগুলি ভাড়া ‘অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো’ হয়েছে। এটা সাধারণ মানুষের উপর অনৈতিক চাপ বলে অমিতবাবু ক্ষোভ প্রকাশ করেন।