বৃষ্টিতে বিঘ্নিত সিগন্যাল বিভ্রাট। আবার তার উপর রেল অবরোধ। শিয়ালদা ডিভিশনের উত্তর থেকে দক্ষিণ আজ, বৃহস্পতিবার ট্রেন দুর্ভোগে হয়রানির শিকার হলেন যাত্রীরা। আজ সকাল থেকেই বনগাঁ–শিয়ালদা শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়ে। তার জেরে সিগন্যালের সমস্যায় বহু ট্রেন নির্দিষ্ট গন্তব্য পর্যন্ত যেতে পারছে না। আবার বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও ডায়মন্ডহারবার শাখায় ট্রেন অবরোধ হয়। সবমিলিয়ে বৃষ্টির দিনে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। মুম্বই মেলের দুর্ঘটনার জেরে খড়গপুর শাখাতেও ভোগান্তি চলছে। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিগন্যালিংয়ের সমস্যার জেরেই এই বিপত্তি ঘটেছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান করে আবার পরিষেবা স্বাভাবিক করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শহর–শহরতলির সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম উপায় হল রেল। অথচ সপ্তাহের ব্যস্ত দিনে সেই রেলেই বিপত্তি ঘটে গেল। নাকাল হলেন অফিসযাত্রীরা। রাতভর প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। বনগাঁ–শিয়ালদা শাখায় সিগন্যালিংয়ের সমস্যা দেখা দেয় তার পর থেকেই বলে খবর। সুতরাং ওই শাখায় ট্রেন চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়। শিয়ালদা থেকে রওনা হওয়া দুটি ট্রেন চাঁদপাড়া পর্যন্ত গিয়ে আটকে যায়। পরের একের পর এক ট্রেন সময়ের থেকে দেরিতে চলাচল করছে। যার জেরে চরম ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। প্রভাব পড়ে বনগাঁ–রানাঘাট শাখায় ট্রেন চলাচলেও। প্রায় ৩ ঘণ্টা পরিষেবা ব্যাহত থাকার পর শেষে বনগাঁ–শিয়ালদা শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। কিন্তু খুব ধীর গতিতে।
আরও পড়ুন: বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, ঘেরাও উপাচার্য, পঠনপাঠন শিকেয়
অন্যদিকে রেল সূত্রে খবর, বনগাঁ স্টেশনের কাছে সিগনালিং প্যানেল ভেঙে যায়। তার জেরেই এই বিপত্তি ঘটেছে। একে সকাল থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি, তার উপর ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত। এই আবহে স্টেশনগুলিতে ভিড় বেড়েছে যাত্রীদের। তোলপাড় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন যাত্রীরা। আজও ডায়মন্ডহারবারে রেল অবরোধ হয়। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ ডায়মন্ডহারবার স্টেশনে অবরোধ শুরু করেন যাত্রীদের একাংশ। যদিও আধ ঘণ্টার পর স্বাভাবিক হয় পরিষেবা। যদিও রেলের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, বিনা কারণে এই অবরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া চক্রধরপুরে মুম্বই মেলের দুর্ঘটনার জেরে খড়গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত হয়েছে। দেরিতে যাত্রা করছে গীতাঞ্জলির মতো এক্সপ্রেস। লোকাল ট্রেনও চলছে দেরিতে। যাত্রীরা ভোগান্তির মুখে পড়ে বলেন, ‘সকাল ১০টা অফিস ঢুকতে হবে। ট্রেনে বসেই ৯টা বেজে গেল। জানি না গন্তব্যে পৌঁছতে পারব কি না। সাড়ে ৭টার পর কোনও ট্রেন নেই। বনগাঁতে দাঁড়িয়ে আছি। রেলের পক্ষ থেকে শুধু জানানো হয়েছে, সিগন্যালিংয়ের সমস্যা। জানি না কখন ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হবে। রেল দফতর কি উঠে গেল?’