করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব দেখা গিয়েছে। এবার তেমনই অভিযোগ উঠল এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা করলেও কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মানছেন না পূর্ব মেদিনীপুরের ওই চিকিৎসক। এই নিয়ে মঙ্গলবার চিকিৎসকের শ্বশুরবাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান সবংয়ের উদ্ধবপুর গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ওই চিকিৎসক ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেক সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ১৮ এপ্রিল এক মহিলার চিকিৎসা করেছিলেন ওই চিকিৎসক। পরে ওই মহিলাপ করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তার পর দিন ১৯ এপ্রিল ৩২ জনের চিকিৎসা করেছিলেন ওই চিকিৎসক। চিকিৎসক-সহ তাঁদের প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য দফতর। অভিযোগ, সেই নির্দেশ অমান্য করে তমলুকে নিজের বাড়িতে না গিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে শ্বশুরবাড়িতে চলে আসেন তিনি। এর পরই আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামে। বাড়িতে না গিয়ে তিনি কেন শ্বশুরবাড়ি এলেন তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, শ্বশুরবাড়িতে থাকা চলবে না। চিকিৎসককে পাঠাতে হবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। যদিও চিকিৎসকের দাবি, সোমবার থেকে কোথাও বেরোননি তিনি।
এদিন বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশকর্মীরা। গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে বিক্ষোভ থামান তাঁরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা জানিয়েছেন, ‘ওই চিকিৎসকের লালারসের নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। তাঁকে ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেক সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। আমরা তাঁর শারীরিক অবস্থার দিকে কড়া নজর রেখেছি।’