ফিরহাদ হাকিমের সভায় হাজির থাকার ‘অনুরোধ’ করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে তৃণমূল নেতারা। যার জেরে মালদায় চরম অস্বস্তিতে শাসকদল। শনিবার এই ঘটনা ঘটে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের গোলামোড় নবগ্রামে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রতি বছর ভোটের সময় এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়ে যান শাসকদলের নেতারা। তার পর থেকে তাদের টিকির পাত্তা পাওয়া যায় না। বছরের পর বছর গেলেও এখনো প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাননি এলাকার বহু মানুষ। বিক্ষোভের মুখে কোনওক্রমে এলাকা ছাড়েন তৃণমূল নেতারা।
রবিবার মালদায় রয়েছে রাজ্যে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের জনসভা। সেই সভায় হাজির থাকতে বলতে শনিবার সকালে গ্রামে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূল নেতাদের দেখেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল নেতারা শর্ত দেন, ফিরহাদের সভায় গেলে তবেই তাঁদের অভিযোগ শোনা হবে। গ্রামবাসীরা পালটা বলেন, গত নির্বাচনগুলিতেও একই ভাবে ভোট নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু তার পর আর নেতাদের দেখা মেলেনি। তাই এবার ফিরহাদের সভায় যাবেন না তাঁরা। এর পর কার্যত তৃণমূল নেতাদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে গ্রাম থেকে বার করে দেন মানুষজন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় লক্ষ লক্ষ পাকা বাড়ি হলেও তাদের নাম তালিকা থেকে বারবার বাদ পড়ে যায়। গ্রামে বহু পরিবার পলিথিনের চাদরের নীচে বাস করছেন। কিন্তু কোনও হেলদোল নেই তৃণমূল নেতাদের। তারা শুধু ভোটের রাজনীতি করতে ব্যস্ত।
ঘটনার কথা স্বীকার করে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, কিছু মানুষ পাকা বাড়ি পেয়েছে, কিছু মানুষ পাননি বলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। আমরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সবাইকে পাকা ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।
ওদিকে বিজেপি নেতা বলেন, ভোটের রাজনীতি করতে গ্রামে গিয়েছিল তৃণমূল। মানুষ ঘাড় ধাক্কা দিয়েছে বেশ করেছে। এই ঘটনায় প্রমাণিত প্রশাসন পাশে না থাকলে তৃণমূল মানুষ থেকে ঠিক কতটা বঞ্চিত।