আমফানের ক্ষতিপূরণে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে ফের বিক্ষোভ তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে। এবার উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের দাদপুর। স্থানীয়দের অভিযোগ, যাদের ঘর ভেঙেছে তারা টাকা না-পেলেও টাকা ঢুকে গিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েতে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও তাঁর আত্মীয়ের অ্যাকাউন্টে। এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আসের আলির বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের ২০,০০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু তা নিয়ে প্রথম থেকেই তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। একাধিক জায়গায় শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। এদিন তেমনই বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল শাসনের দাদপুরে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পঞ্চায়েতের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আসের আলি অবস্থাপন্ন মানুষ। সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন তিনি। তাছাড়া ঝড়ে তাঁর বাড়ির তেমন কোনও ক্ষতিও হয়নি। অথচ আমফানের ক্ষতিপূরণের ২০,০০০ টাকার জন্য আবেদন করেছেন। সেই টাকা পেয়েও গিয়েছেন তিনি। ওদিকে যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তারা এখনো টাকা পাননি।
এই অভিযোগে আসের আলির বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসের আলি। তিনি বলেন, আমার বাড়ির যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। তাই ক্ষতিপূরণ নিয়েছি। তাঁর দাবি, বেশ কিছু ক্ষতিগ্রস্ত যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছেন তাতে সমস্যা রয়েছে। সেজন্য এখনো টাকা পৌঁছায়নি। তাড়াতাড়ি টাকা পৌঁছবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।