স্বামীর মৃত্যুতে বধূকে দায়ী করে মধ্যযুগীয় নির্যাতনের অভিযোগ বিড়ায়

স্বামীর মৃত্যুর জন্য স্ত্রী সোমাকে দায়ী করে তাঁর বাপের বাড়িতে চড়াও হয় গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, সোমার সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে।

তখনও চলছে নির্যাতন। 

স্বামীর মৃত্যুর জন্য স্ত্রীকে দায়ী করে নির্যাতনের অভিযোগ গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা থানা এলাকার বসিরহাটি গ্রামের। ঘটনাস্থল থেকে বধূকে উদ্ধারের পর স্থানীয় ১ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক বছর আগে বৃন্দাবন মণ্ডল নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়ে সোমা মণ্ডলের। দম্পতির ৭ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। পারিবারিক অশান্তির জেরে কিছুদিন আগে বাপের বাড়ি চলে আসেন সোমা। বুধবার হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃন্দাবনবাবু। বুকে-পেটে যন্ত্রণা হওয়ায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে প্রথমে হাবরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কলকাতায় স্থানান্তরের পথে মৃত্যু হয় তাঁর।

স্বামীর মৃত্যুর জন্য স্ত্রী সোমাকে দায়ী করে তাঁর বাপের বাড়িতে চড়াও হয় গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, সোমার সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। পথের কাঁটা সরাতে বৃন্দাবনকে কিছু খাইয়ে মেরে ফেলেছেন সোমা। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা সোমা মণ্ডলের চুল কেটে তাঁর ওপরে নির্যতন করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাবরা থানার পুলিশ। সোমাদেবীকে উদ্ধার করে হাবরা হাসপাতালে চিকিৎসা করায় তারা। এই ঘটনায় ১ গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।