মানুষের বেপরোয়া মনোভাবে প্রাণ গেল আরও এক বিপন্ন বন্যপ্রাণের। বুধবার বিকেলে আলিপুরদুয়ারের মেটেলি চা বাগানে এক হিমালয়ান কালো ভল্লুককে পিটিয়ে মারল জনতা। তার আগে ভল্লুকটির সঙ্গে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রাণ যায় এক কিশোরের। এর পরই প্রাণীটির ওপর আক্রমণ চালায় জনতা।
বুধবার বিকেলে মেটেলি চা বাগানে ভল্লুক ঢুকেছে বলে খবর ছড়ায়। চা বাগানে চিতাবাঘ, বাইসন, হাতি দেখা গেলেও ভল্লুক তেমন একটা দেখা যায় না। ফলে ভল্লুক দেখতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। এর মধ্যে দীপেশ খালকো নামে এক যুবক ভল্লুকের সঙ্গে সেলফি তুলতে যায়। তার ওপর আক্রমণ চালায় ভল্লুক। তাকে তুলে নিয়ে জঙ্গলে চলে যায় প্রাণীটি। কিছুক্ষণের মধ্যে উদ্ধার হয় তার মুণ্ডহীন দেহ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনদফতরের আধিকারিকরা। ততক্ষণে পাশেই একটি ঝোপে আশ্রয় নেয় ভল্লুকটি। ফলে দীপেশের দেহ উদ্ধার করতে যেতে পারছিলেন না বনদফতরের কর্মীরা। এরই মধ্যে ভল্লুকের ওপর আছড়ে পড়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ। প্রাণীটিকে পিটিয়ে মারেন স্থানীয়রা। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরা। তাদের দাবি, পুলিশ ও বনদফতর তৎপর হলে এই ঘটনা এড়ানো যেত।
বলে রাখি, ভারত ও ভুটানে হিমালয়ের পার্বত্য এলাকায় দেখা যায় এই কালো ভল্লুক। বিপন্ন বন্যপ্রাণী হিসাবে নথিভুক্ত তারা। শীতে উঁচু এলাকা থেকে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ নীচু এলাকায় নেমে আসে তারা।