একের পর এক প্রেম ও বিয়ে। যুবককে নাগালে পেতে তার তৃতীয় স্ত্রীকে গাছে বেঁধে রাখলেন গ্রামবাসীরা। স্ত্রীকে ছাড়াতে এসে ধরা পড়লেন যুবক। অবাক এই ঘটনা জলপাইগুড়ির বানারহাটের দুরামারির।
গ্রামবাসীদের দাবি, পবিত্র রায় নামে ওই যুবক তিনটি বিয়ে করেছেন। প্রথমপক্ষের স্ত্রী আত্মঘাতী হওয়ার পর মাম্পি রায় নামে আরেক তরুণীকে বিয়ে করেন তিনি। তার পর সম্প্রতি আরও এক তরুণীকে বিয়ে করে বাড়িতে এনে তোলেন। তিনটে বিয়ে করেও থামেননি যুবক। এলাকায় একাধিক মহিলার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। এর জেরে এলাকার পরিবেশ খারাপ হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
গ্রামবাসীদের দাবি, বিক্ষোভ আঁচ করে চুপিসাড়ে বাড়িতে যাতায়াত করছিলেন যুবক। ফলে তাঁকে ধরা যাচ্ছিল না। ওদিকে পবিত্রর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করে তাঁর স্ত্রী মাম্পি। সোমবার পবিত্রর তৃতীয় স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বার করে গাছে বেঁধে রাখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। বউকে ছাড়াতে সেখানে পৌঁছয় পবিত্র। তখনই তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান পুলিশ আধিকারিকরা।
স্থানীয়দের দাবি, এলাকার একাধিক মহিলার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে পবিত্রর। একজন স্ত্রী থাকতে আরও একটি বিয়ে করে বউ ঘরে এনেছেন। এতে এলাকার পরিবেশ খারাপ হচ্ছে। ওই যুবকের কঠোর সাজা দাবি করেছেন তাঁরা।