কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত অব্যাহত। তাতে নতুন মাত্রা যোগ করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চিঠি। সেই চিঠিতে কেন্দ্রীয় দলের জন্য সবরকমের বন্দোবস্ত করার কড়া নির্দেশ দিল কেন্দ্র।
আরও পড়ুন : COVID-19 Updates: রাজ্যে কম টেস্টের অভিযোগ থেকে NICED-র ত্রুটিপূর্ণ কিট পরিবর্তন, একনজরে পুরো ঘটনাবলী
সোমবার রাজ্যে দুটি কেন্দ্রীয় দল আসার পর থেকেই কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘাত চরম উঠেছে। সেই আবহের মধ্যেই গতকাল নাইসেড ও নবান্নে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় দল। আজ সকালে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র।
আরও পড়ুন : COVID-19 Updates: আগামী দু'দিন র্যাপিড টেস্ট কিট ব্যবহার নয়, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ ICMR-এর
তারপরই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠানো হয়। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে লেখা সেই চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব স্মরণ করিয়ে দেন, ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ৩৫ (১) নম্বর ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, 'বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সব পদক্ষেপ করতে হবে, যা প্রয়োজনীয় মনে হবে।' একইসঙ্গে গত ৩১ মার্চে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। যেখানে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, জনগণের সুরক্ষায় কেন্দ্রের যাবতীয় নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে রাজ্য। সেই পর্যবেক্ষণকে নির্দেশ হিসেবে বিবেচনা করারও কথা বলেছিল শীর্ষ আদালত।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, কলকাতা ও জলপাইগুড়িতে দুটি আন্তঃমন্ত্রক দলের কাজে কোনওরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে না। এমনকী তাঁদের সফর, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথোপকথনেও বাধা তৈরি করা হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। যা ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় কেন্দ্রের নির্দেশ লঙ্ঘন তো বটেই, সমানভাবে শীর্ষ আদালতের নির্দেশও অমান্য করা হচ্ছে বলে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্যকে সহযোগিতা ও সবরকম প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : স্যানিটাইজার বানাতে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য থেকে ইথানল তৈরির অনুমোদন কেন্দ্রের
কেন্দ্রের দাবি, শুধু পশ্চিমবঙ্গেই সহযোগিতা মিলছে না। বাকি তিন রাজ্যে প্রশাসনের পূর্ণ সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। রোজকার সাংবাদিক বৈঠকেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব পুণ্যসলিলা শ্রীবাস্তব বলেন, 'কলকাতা ও জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতা ও ময়দানে নেমে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার ক্ষেত্রে আটকানো হচ্ছে। এটা বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় জারি করা নির্দেশের লঙ্ঘন।'
আরও পড়ুন : WhatsApp Group Call- এবার আটজনের সাথে একসঙ্গে কথা বলার সুযোগ
আজ দুপুরে অবশ্য গুরুসদয় দত্ত রোডে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ কার্যালয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। বৈঠকের পর বিকেল পাঁচটা নাগাদ পরিদর্শনে বেরোয় কেন্দ্রীয় দল। সঙ্গে রয়েছে কলকাতা পুলিশ এবং বিএসএফ।