Lockdown 2.0: কেন্দ্রীয় দলকে সহযোগিতার আশ্বাস রাজ্যের, স্বাগত জানাল অমিত শাহের মন্ত্রক

মুখ্যসচিব জানান, কেন্দ্রীয় দলকে রাজ্য সরকার সহযোগিতা না করার বিষয়টি মোটেও প্রকৃত ঘটনা নয়।

বিএসএফের অতিথিশালায় কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা (ছবি সৌজন্য এএনআই)

কেন্দ্রের কড়া চিঠির পর সুর কিছুটা নরম করল রাজ্য। দিল্লিতে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় দলকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। রাতের দিকে আবার সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

মঙ্গলবার রাজ্যকে চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি দিল্লিতেও অমিত শাহের মন্ত্রকের তরফে মুখ খোলা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব পুণ্যসলিলা শ্রীবাস্তব জানান, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া তিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পূর্ণ সহযোগিতা পাচ্ছে। তার কিছুক্ষণ পরই কলকাতায় আসা কেন্দ্রীয় দলটি রাস্তায় নামে।

পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি লিখে মুখ্যসচিব জানান, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় দলকে যে সহযোগিতা করছে না, তা মোটেও প্রকৃত ঘটনা নয়। কোনও আলোচনা ছাড়াই কলকাতায় এসেছে কেন্দ্রীয় দল। ফলে কেন্দ্রের নির্দেশ মতো কোনও লজিস্টিক সহায়তা প্রদানের কোনও সুযোগ ছিল না। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় দলও কোনও সহায়তা চায়নি।

মুখ্যসচিব জানান, করোনা মোকাবিলা ও লকডাউনের বিষয়ে কলকাতার কেন্দ্রীয় দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্রের সঙ্গে সোমবার নবান্নে আলোচনা করেছিলেন। মঙ্গলবারও কলকাতায় বিএসএফের অতিথিশালায় সেই দলের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের রাজ্যের সাম্প্রতিক তথ্য দেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়িতে থাকা কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধি বিনীত জোশীর সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান মুখ্যসচিব। তাঁকে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে অবহিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।

এরপর রাজ্যের মুখ্যসচিব আশ্বাস দেন, ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় কেন্দ্রের নির্দেশিকা ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করা হবে। রাতের দিকে নর্থ ব্লকের তরফে রাজ্যের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের যুগ্মসচিব সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেন, 'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি লিখেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় নির্দেশিকা ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।'

তারপরই জল্পনা শুরু হয়েছে, কেন্দ্রীয় দল নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতে কি অবশেষে ইতি পড়ল? নাকি এখনও দিল্লি বহু দূরে?