করোনাভাইরাস সংক্রমণে রাশ টানার জন্য আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে কনটেনমেন্ট জোনে শুরু হচ্ছে কড়া নিয়ন্ত্রণবিধি। তার মেয়াদ এক সপ্তাহ। তারপর ফের পরিস্থিতির বিবেচনা করা হবে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। বুধবার নবান্নে একথাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আপাতত প্রথম সাত দিন কড়া বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে বলে মঙ্গলবারই নবান্নের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে কনটেনমেন্ট জোনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরনো যাবে না। সব সরকারি ও বেসরকারি অফিস, বাজার, কলকারখানা এবং বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। যাবতীয় যান চলাচলে সম্পূর্ণ বিধিনিষেধ জারি হবে। অনাবশ্যকীয় কাজ বা গতিবিধি সম্পূর্ণ পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা চলবে। একইসঙ্গে কনটেনমেন্ট জোনের বাসিন্দাদের অফিসে না গেলেও চলবে বলে জানানো হয়েছে। যতটা সম্ভব নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং জরুরি জিনিসপত্রের হোম ডেলিভারির বন্দোবস্ত করবে স্থানীয় প্রশাসন।
নবান্নের তরফে লিখিতভাবে কড়া নিয়ন্ত্রণবিধি জারির নির্দেশ দেওয়া হলেও একাধিক বিষয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। সেই ধোঁয়াশা আরও বেড়েছে কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যে। তিনি জানান, করোনার সংক্রমণ রুখতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনও বাড়ি বা আবাসনে কেউ কোয়ারেন্টাইনে থাকলে তাঁরা বাইরে বেরোতে পারবেন না। তবে কনটেনমেন্ট জোনে যাঁরা আছেন, তাঁরা সুরক্ষাবিধি অবলম্বন করে বাইরে যেতে পারে। অন্যদিকে আবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকরের নিষেধ দিয়েছেন।
পাশাপাশি গণ পরিবহন নিয়েও একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। কনটেনমেন্ট জোনে কোনও যান চলাচল করবে না বলে নবান্নের তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়েছিল। কিন্তু একাধিক বাসের যাত্রাপথের কোনও জায়গাকে যদি কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে পরিবহন দফতর সূত্রে খবর, বাস চালানো নিয়ে কোনও নির্দেশিকা হাতে আসেনি। ফলে এতদিন যেমন বাস চলছিল, তেমনই চলবে।