যে কোনও সময় রাজ্যে ঘোষণা হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচবনের নির্ঘণ্ট। ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও সরকার তা এগিয়ে আনতে পারেন বলে বারবার ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিজেপির ২ নেতার মুখ থেকে শোনা গেল প্ররোচনামূলক মন্তব্য। বনগাঁর দেবদাস মণ্ডলের পর এবার বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেত্রী তথা হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর হুঁশিয়ারি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ওপর হামলা হলে বিজেপিও ছেড়ে কথা বলবে না।
এদিন সিঙুরে এক অনুষ্ঠানে লকেট বলেন, রক্তগঙ্গা বইলে তো আর আমরা বরণডালা নিয়ে তাদের পুজো দিতে পারি না? ভোটে খুনোখুনি, রক্তারক্তি ওরাই শুরু করেছে। কোনও বিরোধী থাকুক তা ওরা চায় না। এভাবে তো চলতে পারে না। মানুষের আওয়াজ বিজেপি তুলবেই। তাকে মান্যতা দিয়ে ভোট করতে গেলে বিজেপিকে তো পালটা রক্তপাত ঘটাতেই হবে’।
বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়ায় এক রক্তদান শিবিরে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘বিজেপির একজন কর্মীও রক্তাক্ত হলে বিজেপি পালটা সেই তৃণমূল কর্মীকে খুঁজে বার করে রক্তাক্ত করবে। আপনারা রক্ত জমিয়ে রাখুন।’
বিজেপির দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জিতেছে তৃণমূল। মনোনয়ন পেশে বাধা দিতে সরকারি দফতরের সামনে ডেরা বানিয়ে বসে ছিল তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা। যার জেরে সরকারি দফতরের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারেননি বিরোধী প্রার্থীরা। যার জেরে তাদের হোয়াটসঅ্যাপে মোননয়ন পেশের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।