গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন দিদির দূতেরা। গ্রামবাসীদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা। এবার দিদির দূত প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকা তোলার অভিযোগে অভিযুক্ত তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতারের দাবিতে জিরাটে ধর্নায় বসেছেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই দিদির দূতেদের নিশানা করে তির ছোঁড়েন লকেট।
তিনি বলেন, দুর্নীতি যতদিন চলবে আমাদের আন্দোলন চলবে। মানুষের সুবিধা আমরা দেখছি। দিদির দূতেরা আসছে। মাথা থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে দিদির দূতেরা। তারা আবার যাচ্ছেন মানুষের কী অসুবিধা হচ্ছে দেখতে। দিদির দূতেরাই তো অসুবিধা। তারাই তো চোর ছ্যাঁচোড়। তারা আবার চড় থাপ্পড় মারছে। চড় থাপ্পড় মারলে ছেড়ে দেবেন না। আপনারাও চার পাঁচটা দিন। তাদের দেওয়ার দরকার আছে। মানুষের টাকা চুরি করবে আবার মারবে? যদি অভিযোগ না শোনে তবে ঘরের মধ্যে দরজা বন্ধ রেখে বেঁধে রেখে অভিযোগ শোনান। কী কী তারা অন্যায় করেছে তা জানতে চান। অভিযোগ বলতে এলে থাপ্পড় মারা? আমি সামনে থাকলে তো চারটে থাপ্পড় মারতাম।
লকেট বলেন, কখনও বলছে দিদিকে বলো। কখনও বলছে দিদি দূত। একেবারে বহুরূপী। একবার এই সাজছে। একবার ওই সাজছে। একই সাজছে। নানা সাজে আসছে মাঝেমধ্য়েই। সব ঘুরে ঘুরে চোর ডাকাত। দুর্নীতিগ্রস্ত। এরা মিথ্যাচার করতে আসছে। মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। বিজেপি কথা দিচ্ছে পঞ্চায়েতে মানুষের লড়াইয়ের পাশে থাকবে।
এর সঙ্গেই লকেট জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন। গোটা বাংলা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকা লুঠ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগণার দত্তপুকুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে সাগর সাগর বিশ্বাসকে সপাটে চড় কষিয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী শিবম রায়। অভিযোগ এমনটাই এনিয়ে সমালোচনার ঝড় রাজ্যজুড়ে। তার জেরেই এবার মুখ খুললেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ না শুনলে দিদির দূতকে বেঁধে রেখে অভিযোগ শোনানোর নিদান দিলেন লকেট। তার সঙ্গে চড়ের পালটা চড় মারার পরামর্শ।
এদিকে তৃণমূলের সীমাহীন দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্য যুব মোর্চার কার্যকরী কমিটির সদস্য সোমনাথ দাস জানিয়েছেন, সীমাহীন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তৃণমূলের নেতারা। তৃণমূল তো রাজনৈতিক দল নয়, একটা প্রাইভেট কোম্পানি। কর্মচারীদের ধরার পাশাপাশি এবার মালিককে ধরা দরকার। তাহলেই সবটা পরিষ্কার হবে। দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল আবার গ্রামে গ্রামে দূত পাঠাচ্ছে! সাধারণ মানুষই এবার অন্যায়ের জবাব চাইছেন। আমাদেরও এনিয়ে আন্দোলন চলবে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup