পশ্চিমবঙ্গেও কি পৌঁছে গেল পঙ্গপালের দল। ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলের কিছু চাষির দাবি অন্তত তেমনই। কৃষকরা জানাচ্ছেন, পঙ্গপালের মতো দেখতে একরকমের পোকা লাউ, আদা ইত্যাদি গাছের পাতা খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে। যদিও জেলা কৃষি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, জেলায় পঙ্গপালের হামলার কোনও খবর তাদের কাছে নেই।
ইতিমধ্যে পশ্চিম ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষে ব্যাপক ক্ষতি করেছে পঙ্গপাল। আফ্রিকা থেকে রওনা দেওয়া পঙ্গপালের ঝাঁক পৌঁছে গিয়েছে রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে। ওদিকে পঙ্গপালের নাম শুনে রাতের ঘুম ছুটেছে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের। তবে এখনই আশঙ্কার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তবে তাতে আতঙ্ক কাটছে না।
সোমবার সাঁকরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের জোড়াশাল গ্রামে চাষের জমিতে এক ধরণের পাতাখেকো কীট দেখা যায়। চাষিদের দাবি, ওই পোকা ক্ষেতে থাকা করলা, ঝিঙে, কুদরোল, আদা প্রভৃতি গাছে পাতা খেয়ে ফেলছে।
যদিও জেলা কৃষি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে পঙ্গপালের আক্রমণের এখনো কোনও খবর নেই। তবে কৃষকরা যখন বলছেন তখন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
কীট বিশেষজ্ঞদের মতে এই পোকা পঙ্গপাল নয়। তবে পাতা খেয়ে স্থানীয়ভাবে চাষের ক্ষতি করতে পারে। সপ্তাহ কয়েক আগে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার টেকনাফে এই পোকার দেখা মিলেছিল। কীট বিশেষজ্ঞরা পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছিলেন ওই কীট পঙ্গপাল নয়।