বৃহস্পতিবার সকালে শিশু মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাতে আর্জি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় টিম রাজ্যে পাঠানোর জন্য। তারপরই রাতে পুরুলিয়া মেডিকেল কলেজে পৌঁছে যান তিনি। সেখানে গিয়ে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে কতজন শিশু ভর্তি রয়েছে তার খোঁজ নেন। তারপরেই ফেসবুক পোস্টে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি লেখেন, ‘ডেপুটি সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। এমন বহু শিশু হাসপাতালে ভর্তি যাদের করোনার উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও কোভিড পরীক্ষা করানো হয়নি’।
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। কেন্দ্রীয় সাহায্যের কথাও উল্লেখ করেন। নন্দীগ্রানের বিধায়ক ফেসবুকে লেখেন, ‘পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অজানা জ্বর ও ফ্লুতে আক্রান্ত কতজন শিশু ভর্তি রয়েছে, খোঁজ নিতে হাসপাতালে উপস্থিত হই। ডেপুটি সুপার মহোদয়ের অফিসে গিয়ে ওনার সঙ্গে দেখা করে কথা বলে যা বুঝলাম ২৩৬ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। কোভিড উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও কোভিড টেস্ট করা হয়নি। পরিকাঠামো অত্যন্ত নিম্নমানের। অপর্যাপ্ত পরিকাঠামোই উদ্বেগের কারণ।’ কারও যদি প্রয়োজন হয় স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তারপরই সাংবাদিকদের কাছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছরে স্বাস্থ্য বিভাগে পরিকাঠামোর কোনও উন্নতি হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও কাজ করেননি। ২৩৬ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। অথচ শয্যা মাত্র ৮০টি। ডেপুটি সুপার মহোদয়কে অনুরোধ করেছি গুরুতর অসুস্থ শিশুদের সুচিকিৎসার জন্য কলকাতায় রেফার করা হোক। আর তা সম্ভব না হলে বিকল্প স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য শিশুদের অভিভাবকের সম্মতি থাকলে আমাদের পুরুলিয়ার সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করলাম।’
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না এই বিষয়ে। তারা ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত।’ তবে এটা নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শুভেন্দুর মন্তব্য ও কাজ নিয়ে পাল্টা তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।