বিজেপি বনধকে নৈতিক সমর্থন করে না। বাংলা বনধের সকালে এই মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অথচ পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রহসন করেছে বলে বাংলা বনধ ডেকে ছিল বিজেপিই। আর সেখানে খাপ খুলতে না পেরে বেলা গড়াতেই বন্ধ প্রত্যাহারের জন্য দলীয় নেতৃত্বকে অনুরোধ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ঠিক কী বলেছেন বিরোধী দলনেতা? সোমবার বেলা গড়াতেই সংবাদমাধ্যমকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘হঠাত্ করে ডাকা বন্ধে অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। অনুরোধ করব বেলা ১২টায় প্রত্যাহার করে নিতে। আমি অনুরোধ করব ধর্মঘটিদের, প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে দেবেন। আপনারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিন।’ যদিও বনধ প্রত্যাহার করা সম্ভব নয় বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
সূত্রের খবর, এই বনধ ডেকে বিপাকে পড়েছে বিজেপিই। কারণ এই বনধে মেলেনি মানুষের সমর্থন। বরং কোথাও কোথাও অসুবিধায় পড়ে বিজেপির উপর বিরক্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। গণপরিবহণ থেকে সবকিছু আজ স্বাভাবিক গতিতে চলছে। সুতরাং বন্ধ ডেকে ভুল করেছেন বুঝতে পেরেছেন শুভেন্দু অধিকারী থেকে দিলীপ ঘোষরা। তাই মানুষের কাছে গ্রহণীয় হয়ে উঠতে এখন বন্ধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে যদি প্রত্যাহার করা হয় তাহলে আরও হাস্যকর হবে বিজেপি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
কলকাতায় বন্ধের কোনও প্রভাব পড়েনি। বালুরঘাট–নন্দীগ্রামে একটু উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হলেও পুলিশ তা সামলে দিয়েছে। সুতরাং উত্তর থেকে দক্ষিণ কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি বিজেপি। সেক্ষেত্রে নবান্নের জয় স্পষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে। এখন মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিতেই এই বাংলা বনধকে প্রত্যাহারের কথা বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।