বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, বাবুল জননেতা নন। তাই তাঁর চলে যাওয়ায় দলের কোনও ক্ষতি হবে না। এবার কোনও রাখঢাক না করেই বাবুল সুপ্রিয়কে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। তাঁর মতে, মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার কারণেই বিজেপি ত্যাগ করেছেন আসানসোলের সাংসদ।
এদিন জঙ্গিপুরে বিজেপি প্রার্থী সুজিত দাসের সমর্থনে প্রচার করতে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি বলেন, ‘সাত বছরের সাংসদ ছিলেন। কিন্তু মন্ত্রিত্ব চলে যেতেই বেসুরো হয়ে পড়েন আসানসোলের সাংসদ। দলত্যাগ করলেও সাংসদ পদ ছাড়েননি। আমি তিনটে দফতরের মন্ত্রী ছিলাম, সব ছেড়ে তবে এসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। এখানে এসেছি নরেন্দ্র মোদীকে দেখে। তাঁর মতো দক্ষ প্রশাসক, নেতা এবং বিজেপির মতো সংগঠন দেখে।’
বাবুল সুপ্রিয় অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি বৃহস্পতিবার সাংসদ পদ ত্যাগ করবেন। বিজেপির পক্ষ থেকে অনেক কটাক্ষ আসবে। কিন্তু অন্যদের তুলনায় তিনি অনেক ভাল কাজ করেছেন। তাই প্রথমবারের তুলনায় দ্বিতীয়বার বেশি ভোটে জিতেছিলাম। আর মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। পাল্টা খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘বাবুল যেখানে গিয়েছেন, সেই মমতার মন্ত্রিসভায় সব ল্যাম্পপোস্ট। একা বিগ পোস্ট উনি। তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ওই দলে আমিও একসময় ল্যাম্পপোস্ট ছিলাম। এখন আর তা নই।’
এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যিনি গেলে দলের কোনও ক্ষতি হবে না তাঁকে এত আক্রমণ কেন? বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এই বদলের আগে দলকে জানানো উচিত ছিল বাবুল সুপ্রিয়র। তাঁর বিজেপি ত্যাগে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। বাবুল সুপ্রিয় জননেতা নন। এমনকী, তিনি একজন ভালো সংগঠকও নন।’