কলকাতা পুরসভা নির্বাচন শেষ। কিন্তু তার রেশ আজও বহাল রয়েছে। মঙ্গলবার এই নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নানা অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছিল। কলকাতার রাজপথে তাঁকে চিৎকার করতে দেখা গিয়েছিল। এবার অন্য মেজাজে দেখা গেল তাঁকে। সোমবার তিনি টুইট করলেন। যেখানে একরাশ ক্ষোভ–সহ অনুযোগ ধরা দিল। একদা তাঁর নেত্রীকে উদ্দেশ্য করেই অনুযোগ অধুনা বিজেপি নেতার। কী লিখেছেন তিনি? এদিন তিনি টুইটে লেখেন, ‘বাংলার মানুষ দয়া করে তৃণমূলের নোংরামির সংস্কৃতি দেখুন। গতকাল (রবিবার) ওঁরা হাজার হাজার পুলিশকর্মীকে ব্যবহার করে আমাকে আটকাতে চেয়েছিলেন। আজ আরও নিচে নেমে গিয়েছেন ওঁরা। আমার বাড়ির সামনে জোরে জোরে গান বাজানো হচ্ছে। কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি তার জন্য। বিষয়টি যে শোভনীয় নয়, সেটাও ভাবছে না তৃণমূল।’
কেন এমন করে জোরে গান বাজানো হচ্ছে? জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, আসলে ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে যোগ দেন। সেই দিনটিকে মাথায় রেখে এই বছর ‘উচ্ছ্বাস দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। কাঁথি–সহ গোটা হলদিয়ায় পালিত হচ্ছে উচ্ছ্বাস দিবস। এমনকী কাঁথিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ‘গদ্দার হটাও উচ্ছ্বাস মিছিলে’ হাঁটতে দেখা যায় রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি–কে।
আজ ধারাবাহিক টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। দ্বিতীয় টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আমার কর্মব্যস্ত সময়ের কারণে একেবারেই বাড়িতে থাকতে পারি না। কিন্তু, আমার ৮৩ বছরের বাবা শিশির অধিকারী বাড়িতেই থাকেন। আমার ৭৪ বছরের অসুস্থ মা এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এটুকু মনে রাখা উচিত যে যা মানুষ করে, সেটাই পরবর্তীতে ফেরত পায়। বাংলার সংস্কৃতি মনস্ক মানুষজন এই বিষয়টি বিচার করবেন।’
কলকাতা পুরসভা নির্বাচন শেষের পর থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশকে তোপ দাগা থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করেন তিনি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে সোচ্চার হন। এই নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছেও নালিশ ঠোকেন। এই নির্বাচন প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে বলেও সওয়াল করেন। তারপর আজ টুইট করলেন।