প্রেম সীমান্ত মানে না। প্রেম দেশের সীমারেখা মানে না। প্রেম উদ্দাম। প্রেম স্নিগ্ধ। সেই প্রেমের টানেই আমেরিকা থেকে মুর্শিদাবাদের রাণীনগরে চলে এলেন এক যুবতী। নাম রাইহান আক্তার। আর মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ওই তরুণের নাম মুসাফির হোসেন। তার টিকটক ভিডিয়ো দেখেই মুসাফিরের প্রেমে পড়েছিলেন রাইহান। সেটাও প্রায় বছর তিনেক আগের ঘটনা। এরপর নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে সেই প্রেমের টান আরও জোরালো হয়েছে। আর সেই প্রেমের টানেই মুর্শিদাবাদের কাতলামারি গ্রামে চলে এলেন ভিনদেশি প্রেমিকা।
রাইহান আসলে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়ার বাসিন্দা। তবে তিনি এখন আমেরিকার গ্রিন কার্ড হোল্ডার। সেখানে মা ও দাদাদের সঙ্গে থাকেন। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন তিনি। অন্য়দিকে মুসাফির স্নাতক পাশ করে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে আরও এগোতে চাইছেন। আর তারই মাঝে টিকটিক ভিডিয়ো। আর সেই ভিডিয়ো জুড়ে দিল আমেরিকা ও ভারতকে। আর সেটাও প্রেমের বন্ধনে। মুসাফির জানিয়েছেন, সব ছেড়ে রাইহান এসেছে। এই সম্পর্ককে কোনওদিন অমর্যাদা করব না।
রবিবারই কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা মুর্শিদাবাদে চলে গিয়েছিলেন রাইহান। ফারহানা বলেও পরিচিত তিনি। মুসাফিরকে তিনি আমেরিকায় নিয়ে যেতে চান। কিন্তু এই প্রেমের জার্নি কোনওভাবেই এত সোজা ছিল না। দুই পরিবারই বিষয়টি মানতে চায়নি। তবে ধীরে ধীরে নমনীয় হয়েছেন তাঁরা। আপাতত মুসাফিরকে বিয়ের প্রস্তাব রেখেছেন রাইহান। মেনে নিয়েছেন মুসাফিরের পরিবার। তাঁরা জানিয়েছেন দুজনের সুখে থাকুক এটাই চাইছেন তাঁরা। আর এই প্রেমের খবর যেন নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা এলাকাকে। দলে দলে এখন ওই ভিনদেশি প্রেমিকাকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন মুসাফিরের বাড়িতে।