বিয়েতে চাপ দেওয়ায় কিশোরী প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনা পুরুল্যার মানবাজার থানা এলাকা অক্ষয়পুর গ্রামের। ঘটনার ২ দিন পর টুংরার জঙ্গল থেকে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার অভিযুক্ত প্রেমিক তাপস বাউড়ি।
নিহত কিশোরীর পরিবার জানিয়েছে, গত ১১ জুলাই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। সকালে ব্যাঙ্কে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোলেও রাত পর্যন্ত ফেরেনি। এর পর মানবাজার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। তদন্তে নেমে আধিকারিকরা জানতে পারেন, শেষবার তাপস বাউড়ি নামে এক যুবকের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাপসের সঙ্গে কিশোরীর প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল বলেও জানতে পারেন তাঁরা। এর পর তাপস বাউড়ির বাড়িতে হানা দেন পুলিশ আধিকারিকরা। জেরার মুখে সে স্বীকার করে, কিশোরীকে খুন করে টুংরার জঙ্গলে ফেলে রেখে এসেছে সে।
পুলিশের দাবি, জেরায় তাপস জানিয়েছে, কিশোরীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল কিশোরী। কিন্তু এখনই বিয়ে করায় আপত্তি ছিল তাপসের। সেকথা কিশোরীকে বুঝিয়েও বলেছিল সে। ১১ জুলাই ২ জনে টুংরার জঙ্গলে যায়। সেখানে ফের বিয়ের বায়না করতে শুরু করে কিশোরী। তাপস তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কোনও কথা শুনছিল না প্রেমিকা। এমন সময় উত্তেজনার বশে নাবালিকার গলা টিপে ধরে সে। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে প্রেমিকা। তখন তার দেহ জঙ্গলে ফেলেই বাড়ি ফিরে আসে।
এর পর তাপসকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর দেহ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত তাপস বাউড়িকে।