মিড ডে মিলে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তো আগেই উঠেছিল, এবার নিম্নমানের মিড ডে মিল দেওয়ার অভিযোগ উঠল সরকারের বিরুদ্ধে।অভিযোগ তুলল বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন।ইতিমধ্যে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ এসেছে।প্রশাসনের তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
গত ২৫ মে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, জুন মাসের মিড ডে মিলে প্রতিটি পড়ুয়াকে দু কেজি চাল, এক কিলো আলু, আড়াইশো গ্রাম ডাল ও চিনি, ১০০গ্রাম সোয়াবিন ও একটি সাবান দেওয়া হবে।তবে কোনও ছোলা দেওয়া হবে না।পাশাপাশি চিনি ও সোয়াবিনের পরিমাণও অর্ধেক করে দেওয়া হয়।এভাবে মিড ডে মিলের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ায় অনেক শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিরাই বিরোধিতা করতে শুরু করেছিল।তবে এবারে নিম্নমানের মিড ডে মিল দেওয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।এবারে মিড ডে মিলের সামগ্রীতে পোকা ধরা মুসুরের ডাল ও নোংরা চিনি বণ্টনের অভিযোগ উঠল।এই ধরনের জিনিস বণ্টন হওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।|
এই প্রসঙ্গে বিড়জা প্রাথমিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ বাগচি জানান, পোকা ধরা মুসুরের ডাল বিতরণ করতে গিয়ে অভিভাবকদের গঞ্জনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।অনেক অভিভাবকই মিড ডে মিলের সামগ্রী ছুড়ে ফেলে দিয়ে গেছেন।বিজেপির শিক্ষক সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, আগেরবার পর্যন্ত স্কুলই এই সব সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছিল। তখন কোনও অভিযোগ ছিল না।এবার তা আর স্কুলের হাতে নেই।পোকা ধরা ডাল ও নোংরা চিনি বণ্টন করতে গিয়ে অনেক শিক্ষককেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।এর তদন্ত করা দরকার।তবে পশ্চিম বর্ধমানে তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোনও স্কুল অবশ্য সরাসরি কিছু জানায়নি।তবে আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানাচ্ছি।এদিকে এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক বিভু গোয়েল জানান, একটি স্কুল থেকে অভিযোগ পেয়েছি। যারা এর পিছনে দায়ী, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।