তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনাতেই বাস্তবায়িত হয়েছে শিয়ালদহ মেট্রো। তবে শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধনে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো নিয়েই জোর বিতর্ক শুরু হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, রাজনৈতিক স্বার্থে কেন্দ্রের তরফে ব্রাত্য করা হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। পরে অবশ্য মমতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এই আবহে সেই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলে চরম হুঁশিয়ারি শোনা গেল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের গলায়। তাঁর কথায়, ‘এক ইশারাতেই বন্ধ হয়ে যেত মেট্রো রেলের উদ্বোধন।’
মদন মিত্র মহিষাদলের একটি সভায় গিয়ে বলেন, ‘আমাদের হাতে কলকাতা মেট্রো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাজিয়ে দিয়েছেন এই মেট্রো। এই শিয়ালদহের ভিত্তি তৈরি করেছেন তিনি। আজ যেহেতু মমতা শহরের বাইরে রয়েছেন, সেই সুযোগে বর্গির দল ঢুকে পড়েছে সেখানে। সব ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে। আমার দল আমাকে নির্দেশ দেয়নি। নাহলে, শুধু এক ইশারাতেই আজকে শিয়ালদহের এই মেট্রো বন্ধ হয়ে যেত। উদ্বোধনের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেত। মদন মিত্র মেট্রো রেলের প্রেসিডেন্ট।’
রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যেই সোমবার উদ্বোধন হয়ে হল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো করিডরের অষ্টম স্টেশন শিয়ালদহর। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে যাত্রী পরিষেবা। শিয়ালদহ থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত চলবে মেট্রো। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘২০২৩ সালের মধ্যে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প শেষ হবে।’ তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সাংসদ-বিধায়ক হাজির ছিলেন না।