মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে সরব হলেন উত্তর দিনাজপুরের অভিভাবকদের একাংশ। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল গুলিকে নিজেদের উদ্যোগে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
করোনাভাইরাস আবহে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অভিভাবকরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য. মাধ্যমিক তাঁদের সন্তানদের কাছে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। তাই টেস্ট পরীক্ষা না দিয়ে সরাসরি চূড়ান্ত পরীক্ষা দিলে তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হবে।
টেস্ট পরীক্ষা হলে পড়ুয়ারা নিজেদের ভুল ত্রুটিগুলো সংশোধন করতে পারবে। তাই স্কুল কর্তৃপক্ষকে চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে ছোটো করে পরীক্ষা নেওয়ার আর্জি জানান অভিভাবকরা। ইটাহার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত নারায়ণ ধর জানিয়েছেন, অভিভাবকরা ফোন করে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
ABTA-র জেলা সম্পাদক বিপুলকুমার মৈত্র বলেন, ‘সরকারিভাবে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। কিন্তু অভিভাবকরা পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।’ তিনি জানিয়েছেন, অনুমতি মিললে মাধ্যমিকের আগে ডিসেম্বরে কোভিড বিধি মেনে একটা স্ক্রিনিং টেস্ট নেওয়া যেতে পারে। তবে তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি প্রসূন কুমার দত্ত জানিয়েছেন, করোনার জন্য স্কুল বন্ধ। টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার সময় নেই। তাই সরাসরি চূড়ান্ত পরীক্ষা দেবে পরীক্ষার্থীরা।
জেলায় এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩৫,০০০। পরীক্ষার চূড়ান্ত সিলেবাস এখনও সকলের অজানা। জেলা স্কুল পরিদর্শক নিতাই দাস জানিয়েছেন, টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া পুরোপুরি সরকারি সিদ্ধান্ত। তাই সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করা যাবে না। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে স্কুলগুলিকে সময় মতো জানিয়ে দেওয়া হবে।