নথিভুক্তি হয়নি। সেজন্য মূল্যায়নের সুযোগ হারাতে বসেছে ২৯ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির স্কুলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন পড়ুয়া-অভিভাবকরা। নথিভুক্তিকরণ না হওয়ায় জন্য করণদিঘির মাদারগাছি উচ্চ বিদ্যলয়ের ২৯ জন পড়ুয়ার শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হওয়ার মুখে। শুধু তাই নয়, এই ২৯ জনের মধ্যে আছেন ক্লাসের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানাধিকারী ছাত্রীরাও। আছে বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সদস্যর নিজের কন্যাসন্তানও। এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ সামনে এসেছে।যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন প্রমাণ ও যুক্তি দিয়ে এই ঘটনার দায় অভিভাবকদের উপর চাপিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে প্রধান শিক্ষক ওই ২৯ জনের মধ্যে জন ১০ পড়ুয়ার নতুন করে আবেদনপত্র পূরণ করে পর্ষদ অফিসে নিয়ে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু বাকি পড়ুয়াদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
চলতি বছরে করণদিঘি ব্লকের মাদারগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৭৮ জন পড়ুয়ার মধ্যে ১৪৯ জন পড়ুয়া পরীক্ষার আবেদনপত্র পূরণ করেছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের তরফে এই আবেদনপত্র পূরণের বিষয়ে পড়ুয়াদের জানানোই হয়নি।
অভিভাবক ও পড়ুয়াদের দাবি, গত বছর থেকে টানা লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায়, তাঁরা স্কুলের কোনও বিষয়ে অবগত ছিলেন না। আরও অভিযোগ, ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে ফর্ম-ফিলআপের জন্যও স্কুল থেকে কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থাকলেও তাতেও এই সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে দাবি তাঁদের।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, যখন স্কুলের একাধিক মেধাবী পড়ুয়ার ফর্ম ফিলাপ হয়নি। তাঁদের নামও বাদ পড়েছে, তখন কীভাবে প্রধান শিক্ষক নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন? স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজয়কুমার ঘোষ অবশ্য এই প্রসঙ্গে অদ্ভূত যুক্তি খাঁড়া করেছেন। তাঁর বক্তব্য, অন্যান্য বছরে এই হারে পড়ুয়াদের ফর্ম ফিলআপ হয় না। সেজন্য বিষয়টি স্বাভাবিক মনে করেছিলেন তিনি! তিনি পাল্টা একগুচ্ছ প্রমাণপত্র নিয়ে সব দায় অভিভাবকদের উপরে চাপিয়ে দেন। যদিও স্কুলের মেধাবী পড়ুয়ারা কীভাবে বঞ্চিত হল, সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি তিনি। যদিও শেষপর্যন্ত ওই ২৯ জনের বিষয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে আবেদন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন অজয়বাবু।