মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে তোড়জোড় শুরু করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মাধ্যমিকে বসার জন্য পড়ুয়াদের যে ফর্ম ফিলআপ করতে হয়, তা আগামী ১৬ এবং ১৭ ডিসেম্বর পর্ষদের ক্যাম্প অফিস থেকে বণ্টন করা হবে।
মঙ্গলবার পর্ষদের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী বছর যে প্রার্থীরা মাধ্যমিক দেবে, তাদের জন্য ছাপা ফর্ম বিলি করা হবে। ১৬ এবং ১৭ ডিসেম্বর পর্ষদের নির্ধারিত ক্যাম্প অফিস থেকে সব স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিকে তা সংগ্রহ করতে হবে। এবার যে পরীক্ষার্থীরা কম্পার্মেন্টাল পরীক্ষা দেবে, তাঁদেরও ফর্ম দেওয়া হবে। একইসঙ্গে চলতি বছরের নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন ফর্মও দেবে পর্ষদ।
তবে কতদিনের মধ্যে সেই ফর্ম ফিলআপ করে পর্ষদে জমা দিতে হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, জানুয়ারির মধ্যেই সেই পুরো প্রক্রিয়াটি মিটিয়ে ফেলা হবে। সেই বিষয়ে ফর্ম বণ্টনের দিনগুলিতে স্কুলের প্রতিনিধিদের সম্ভবত প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
এদিকে ইতিমধ্যে সূত্রের খবর যে পিছিয়ে যাচ্ছে এবারের মাধ্যমিক। তা সম্ভবত বিধানসভা ভোটের পর জুনের প্রথম সপ্তাহে হতে পারে। নিউজ ১৮ বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের কাছে সেই প্রস্তাবিত নির্ঘণ্ট পাঠানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী, আগামী বছর বিধানসভা ভোট মিটে যাওয়ার পর জুনের প্রথম সপ্তাহে মাধ্যমিক শুরু হতে পারে। তা চলতে পারে দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত।
সূত্রের খবর, আপাতত স্কুল স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সেই রুটিনের প্রস্তাব পাঠানো হবে। তার ভিত্তিতে আলোচনা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দেওয়া হবে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, এবার মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা হবে না। তারপর পাঠ্যক্রম কাটছাঁট করে পরিবর্তিত পাঠ্যক্রম ঘোষণা করে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাঠ্যক্রম কাটছাঁট করলেও সম্ভবত প্রশ্নপত্রের ধাঁচ পালটানো হবে না। নয়া পাঠ্যক্রমে যেমন মাধ্যমিক হয়ে এসেছে, সেই ধাঁচেই প্রশ্নপত্র তৈরি করা হতে পারে। তবে পাঠ্যক্রম থেকে বিভিন্ন অংশ কাটছাঁট হওয়ায় কত অধ্যায় থেকে কত নম্বরের প্রশ্ন করা হবে, তা নিয়ে পর্ষদের তরফে একটি রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।