মাধ্যমিকের ভবিষ্যৎ কী হবে? তা নিয়ে আবারও ধোঁয়াশা তৈরি হল। নির্ঘণ্ট ঘোষণার জন্য বুধবার যে সাংবাদিক বৈঠকে ডাকা হয়েছিল, তা আচমকা বাতিল হয়ে যাওয়ায় মাধ্যমিক পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বুধবার দুপুর দুটো নাগাদ যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের নির্ঘণ্ট ঘোষণার কথা ছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। কিন্তু বুধবার সকালে আচমকা তা বাতিল করে দেওয়া হয়। কী কারণে সাংবাদিক বৈঠক বাতিল করা হয়েছে, সে বিষয়ে পর্ষদ বা শিক্ষা দফতরের থেকে কিছু জানানো হয়নি।
তবে সূত্রের খবর, এবার মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ লাখের মতো। বর্তমান পরিস্থিতিতে আদৌও পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদদের প্রতিনিধি, শিশু অধিকার কমিশনের প্রতিনিধি, শিশুদের নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি, মনোবিদ এবং চিকিৎসকরা আছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে আদৌও পরীক্ষা নেওয়া যাবে কিনা, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবেন তাঁরা। খতিয়ে দেখবেন সম্ভাবনা। পরীক্ষা যদি বাতিলও হয়, তাহলে কীভাবে পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়া হবে, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। সেই বিষয় বিবেচনা করে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি। তার ভিত্তিতেই মাধ্যমিক নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
যদিও সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সপ্তাহদুয়েক আগেই শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, 'সংক্রমণ কমলে পরীক্ষা - এটা হেডলাইন নয়, হেডলাইন হবে - পরীক্ষা হবে সংক্রমণ কমলেই। পরীক্ষাটাই হবে, সংক্রমণ কমলে।’ গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে হবে মাধ্যমিক। শিক্ষা মহলের একাংশের প্রশ্ন, পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আগেভাগেই কেন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে পরামর্শ চাওয়া হয়নি? এখন তো সংক্রমণ তাও কিছুটা কমেছে। নাকি সিবিএসই এবং সিআইএসসিই দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাওয়ার জন্য আবারও পরিস্থিতির পর্যালোচনার পথে হাঁটল রাজ্য?