মাধ্যমিক পরীক্ষা জুনেও হচ্ছে না, ইতিমধ্যে তা জানিয়ে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।জুনে যদি না হয়, তাহলে কবে হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।রাজ্যে করোনা সংক্রমণ যে জায়গায় রয়েছে, তাতে পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে কেউই তা হলফ করে বলতে পারছেন না।ফলে এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে রাজ্যে ছাত্র–ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ।
এবারে মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। পরীক্ষা যদি নিতেই হয়, তাহলে পরীক্ষাকেন্দ্রে ছাত্র–ছাত্রীদের সঙ্গে তাঁদের অভিভাবকদেরও যেতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরাও রয়েছে। ফলে পরীক্ষা নিতে হলে এই সবার স্বাস্থ্যের কথাই মাথায় রাখতে হবে। করোনার সংক্রমণ যে জায়গায় রয়েছে, তাতে জুন মাসের শেষের দিকে পরিস্থিতি যে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে যাবে, তা হলফ করে কেউ বলতে পারছেন না। ফলে এখন ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
পর্ণশ্রীর দশম শ্রেণির এক ছাত্রী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেড় বছর ধরে পড়াশোনা করে যাচ্ছি।এরপরও যদি কোনও মূল্যায়ন না হয়, তাহলে মন খারাপ হয়ে যাবে। যা পরিস্থিতি, তাতে এখন পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। এখন যদি সম্ভব না হয়, তাহলে জুলাইয়ে পরীক্ষা হোক।’ তবে এই প্রসঙ্গে ভিন্ন মন্তব্য শোনা গেল বারুইপুরের এক পড়ুয়ার। তাঁর মতে, পরিস্থিতি ভালো হলে হোম সেন্টারেই পরীক্ষা নেওয়া হোক। পরীক্ষার্থীদের জন্য স্পেশাল বাস, ট্রেন চালানো হোক।দরকার হলে পিপিই কিট পরেও পরীক্ষা দেব। অনেকের মুখে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কার কথাও উঠে এসেছে। অনেক পড়ুয়ার মতে, ‘পরীক্ষা যত দেরিতে হবে, তত উচ্চশিক্ষা ও সর্বভারতীয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে পড়ব।সর্বভারতীয় পরীক্ষায় বসতে হলে আমাদের এখনই একাদশ শ্রেণির পড়াশোনা শুরু করে দেওয়া উচিত। আমরা যদি এখনই পড়াশোনা শুরু না করি, তাহলে সর্বভারতীয় পরীক্ষায় আমরা পিছিয়ে যাব।’