এবারের মাধ্যমিক কি স্থগিত করা হবে নাকি বাতিল হয়ে যাবে? সে বিষয়ে চূড়ান্ত নিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দুটি বিকল্প ভেবেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠিয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর।
এবার ১ জুন থেকে মাধ্যমিক শুরু হওয়ার কথা। অর্থাৎ সূচি মেনে পরীক্ষা হলে হাতে আর ২০ দিনও পড়ে নেই। কিন্তু আদৌও সেই পরীক্ষা হবে কিনা, তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় আছেন পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা। তারইমধ্যে সোমবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আপাতত রাজ্যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যেরকম আছে, সেরকম যদি চলতে থাকে, তাহলে নির্ধারিত সূচি মেনে মাধ্যমিক নেওযা সম্ভব নয়। সেই পরিস্থিতিতে আদৌও মাধ্যমিক হবে নাকি সিবিএসই এবং আইসিএসই দশম শ্রেণির মতো পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
সূত্রের খবর, সোমবারই পর্ষদের সভাপতি প্রায় ঘণ্টাতিনেক বৈঠক করেন স্কুলশিক্ষা সচিব মণীশ জৈন। মাধ্যমিক আয়োজনের জন্য কতটা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়ার পথে কোন কোন বিষয়গুলি অন্তরায় হতে পারে, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তিনি। যদি শেষপর্যন্ত পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়, তাহলে কীভাবে পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়া হবে, সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। তারই ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, সেই রিপোর্ট দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এখনও মাধ্যমিক নিয়ে টালবাহানা হওয়ায় রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা। তাঁদের বক্তব্য, পরীক্ষা নিয়ে উৎকণ্ঠা ক্রমশ বাড়তে থাকায় পড়াশোনায় কার্যত মন বসছে না। তাই পরীক্ষা আদৌও হবে কিনা, তা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে।বিশেষত বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা পড়ুয়াদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ কম নেই। সেইসঙ্গে রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন না হলেও কড়া বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। বন্ধ হয়ে গিয়েছে লোকাল ট্রেন। প্রাথমিকভাবে ১৯ মে পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। সেইসঙ্গে বাস, মেট্রোর মতো গণপরিবহনে যাত্রী সংখ্যা ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে স্বভাবতই পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের প্রশ্ন, যদিও বা পরীক্ষা হয়, তাহলে পরীক্ষাকেন্দ্রে কীভাবে পৌঁছানো যাবে? সেই পরিস্থিতিতে দ্রুত মাধ্যমিকের ভবিষ্যৎ স্পষ্ট করার দাবি তোলা হয়েছে।