বাংলার মতো মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষার প্রশ্নও সহজ এল। ভালো নম্বরই উঠবে পড়ুয়াদের। ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’-য় কলকাতার পাঠভবন স্কুলের ইংরেজির ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ভারতী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ছাত্র-ছাত্রীরা যেমন আশা করেছিল, তেমনই প্রশ্ন এসেছে। এমন কোনও প্রশ্ন আসেনি, যা পড়ুয়াদের কাছে অচেনা বা অজানা। ‘মর্নিং ওয়াক’ নিয়ে যে প্যারাগ্রাফ এসেছে, সেটা সহজ। 'ফায়ার ওয়ার্ক কজিং পলিউশন' নিয়ে এডিটোরিয়াল লেটার লিখতে দেওয়া হয়েছিল। সেটাও বেশ সহজ। ‘ফায়ার ওয়ার্ক কজিং পলিউশন’ নিয়ে এডিটোরিয়াল এসেছে। তাছাড়াও যে রিপোর্ট রাইটিং এসেছে, সেটাও পড়ুয়াদের কঠিন বলে মনে হয়নি। ‘ওয়াইল্ড লাইফ’ থেকে আনসিন প্যারাগ্রাফ এসেছে। গ্রামারের অংশেও যে যে প্রশ্ন করা হয়েছে, সেটা সহজ হয়েছে। সার্বিকভাবে যেরকম প্রশ্ন এসেছে, তাতে পড়ুয়ারা খুব খুশি। আর ভালো নম্বরও উঠবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন কলকাতার পাঠভবন স্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকা।
ভালো নম্বর উঠবে, আশাবাদী শিক্ষিকা
তিনি জানিয়েছেন, মাধ্যমিকের আগে পাঠভবনে যেরকমভাবে পড়ানো হয়েছিল, যেরকমভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিল পড়ুয়ারা, তাতে তাঁদের স্কুল থেকে এবার সকলেই ইংরেজিতে ভালো নম্বর পাবে। পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য প্রান্তের স্কুলের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে সেটা ব্যতিক্রম হবে না বলে আশাপ্রকাশ করেছেন ইংরেজির শিক্ষিকা।
সিন থেকে আনসিন- খুবই সহজ এসেছে, জানালেন শিক্ষিকা
একইসুরে জলপাইগুড়ির ইংরেজি শিক্ষিকা ঐন্দ্রিলা বণিক জানিয়েছেন, এবার ইংরেজির প্রশ্ন অত্যধিক সহজ এসেছে। ২০ নম্বরের যে ‘সিন’ অংশ থাকে, তা ‘সি ফিভার’ থেকে এসেছে। আর সেখান থেকে যে প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে, সেগুলি একেবারেই ‘কমন’। যে পড়ুয়ারা টেস্ট পেপার 'সলভ' করেছে, তাদের কোনও অসুবিধাই হবে না। আবার ‘আনসিন’ অংশ থেকে যে ‘ভোকাবোলারি’-র প্রশ্ন থাকে, সেগুলিও খুব সহজ ছিল। ভালো করে ‘আনসিন’-টা পড়লেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির ইংরেজি শিক্ষিকা।
'যা প্র্যাকটিস করেছে, সেখান থেকেই গ্রামারের প্রশ্ন হয়েছে'
তিনি জানিয়েছেন, গ্রামারের প্রশ্নও (পূর্ণমান ২০ নম্বর) খুব সহজ হয়েছে। পাঠ্যবই বা টেস্ট পেপারে যে ধরনের গ্রামারের প্রশ্ন থাকে, সেরকমই এসেছে। যেমন ‘ফ্রেজাল ভার্ব’ করানো হয়েছিল, সেরকমই মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে পেয়েছে পড়ুয়ারা। সেইসঙ্গে ‘ট্রান্সফর্মেশন অফ সেন্টেসেস’, ‘আর্টিকেল-প্রিপোজিশন’-ও খুব সহজ ছিল। ছাত্র-ছাত্রীরা যা প্র্যাকটিস করে গিয়েছিল, তার মধ্যে থেকেই প্রশ্ন এসেছে।
রাইটিংয়েও কারও অসুবিধা হবে না, মত শিক্ষিকার
জলপাইগুড়ির ইংরেজি শিক্ষিকা জানিয়েছেন, ৩০ নম্বরের রাইটিং অংশটাও সহজ এসেছে। ‘বেনিফিটস ও মর্নিং ওয়াক’ প্যারাগ্রাফ দেওয়া হয়েছে। টেস্টে পেপারে এরকম ভরতি প্যারাগ্রাফ ছিল। ফলে কারও অসুবিধা হবে না। একইভাবে রিপোর্টিং ও এডিটোরিয়াল লেটারও ‘কমন’ এসেছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির ইংরেজি শিক্ষিকা।
তাঁর কথায়, ‘সার্বিকভাবে বলতে গেলে ২০২৫ সালের মাধ্যমিকে ৯০ নম্বরের যে ইংরেজি প্রশ্ন করা হয়েছে, তা খুব ভালো হয়েছে। যে পড়ুয়ারা সারা বছর ক্লাস করেছে, প্র্যাকটিস করেছে এবং অবশ্যই টেস্ট পেপার সলভ করেছে, তাদের পরীক্ষা খুব ভালো হয়েছে। প্রশ্ন খুবই সহজ ছিল।’
আরও পড়ুন: Madhyamik Exam Special Bus: স্পেশাল বাস চলবে মাধ্যমিক পরীক্ষায়, টেনশন হবে না!
'মাধ্যমিকে যেমন প্রশ্ন হওয়ার কথা, সেরকমই হয়েছে'
একইভাবে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র হাইস্কুল ফর বয়েজ (গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড) স্কুলের ইংরেজির শিক্ষিকা সৌমিতা পাত্র বলেছেন, ‘মাধ্যমিকে যেমন প্রশ্ন হওয়া দরকার, সেরকম প্রশ্নই করা হয়েছে। সবধরনের ছাত্র-ছাত্রীর কথা মাথায় রেখে প্রশ্ন করা হয়েছে। ঠিকঠাক ও স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন হয়েছে।’
তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন কলকাতা হিন্দু স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক নীলাঞ্জন সাহা জানিয়েছেন, স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্ন এসেছে। সহজ প্রশ্ন করা হয়েছে। খুব কঠিন কিছু নেই। এক বা দুটো প্রশ্ন হয়তো একটু কঠিন লাগতে পারে। কিন্তু বুদ্ধি প্রয়োগ করলে সেটাও সহজে সমাধান করা যাবে। ছাত্র-ছাত্রীদের অজানা কোনও প্রশ্ন আসেনি। সেটা ‘সিন’ হোক বা ‘আনসিন’, গ্রামার, রাইটিং হোক। যারা প্র্যাকটিস করেছে এবং শান্ত মাথায় পরীক্ষা দিয়েছে, তারা দুর্দান্ত নম্বর পাবে। ছাত্র-ছাত্রীদের ভয় পাওয়ার কোনও বিষয় নেই।
অঙ্ক পরীক্ষার আগে আত্মবিশ্বাস বাড়ল পড়ুয়াদের!
আর ইংরেজিতে ভালো নম্বর পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী পড়ুয়ারাও। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) অঙ্কের আগে প্রথম দু'দিনের পরীক্ষা ভালো হওয়ায় তাদেরও আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আর অঙ্ক পরীক্ষার আগে হাতে বাড়তি সময়ও পাওয়া গিয়েছে। বুধবার, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পরীক্ষা নেই। একেবারে শনিবার অঙ্ক পরীক্ষা হবে। তারপর রবিবার বাদ দিয়ে সোমবার থেকে টানা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। আগামী সোমবার ইতিহাস পরীক্ষা আছে।