বাক্যগঠনে গলদ, প্রশ্নের মধ্যে অসম্পূর্ণতা- মাধ্যমিকের জীবন বিজ্ঞানের ইংরেজির প্রশ্নপত্র নিয়ে এমনই সব অভিযোগ উঠল। দাবি করা হয়েছে যে বাংলার প্রশ্নপত্রে ভাষাগত তেমন কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু সেই প্রশ্নটাই ইংরেজিতে এমনভাবে করা হয়েছে যে সেটা বুঝতে পরীক্ষার্থীদের বেশ অসুবিধা হয়েছে। কারণ বাংলা থেকে ইংরেজিতে ঠিকভাবে অনুবাদ করা হয়নি। এমনভাবে বাক্যগঠন করা হয়েছে যে পড়ুয়ারা একবার পড়েই অর্থ বুঝতে পারবে না। এমনকী একই প্রশ্ন কয়েকবার পড়ে শিক্ষকদেরও অর্থ বুঝতে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইংরেজি প্রশ্নের মানে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে, মত শিক্ষকের
কলকাতার হিন্দু স্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক তরুণ ঘোষ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, বাংলা থেকে ইংরেজির অনুবাদের বিষয়টা বেশ গড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। বাংলায় যে প্রশ্ন করা হয়েছে, সেটার সঠিক অনুবাদ করা হয়নি ইংরেজিতে। অনেকগুলোই ক্ষেত্রে লক্ষ্য দেখা গিয়েছে যে ইংরেজি প্রশ্নের মানে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। প্রশ্নটার মধ্যে অসম্পূর্ণ ব্যাপার রয়ে গিয়েছে।
'একাধিক পড়েও কিছু বুঝতে পারলাম না'
আর বাক্যগঠনে কীরকম গলদ রয়েছে, সেটারও উদাহরণ দিয়েছেন হিন্দু স্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক। তিনি বলেছেন, ‘ইংরেজিতে ২.১৫ (2.15) প্রশ্নটা ছিল ‘In human body in all ________ pairs of cranial nerves and spinal nerves are present’। এটায় তো বাক্যটার মানেই ঠিকমতো কিছু দাঁড়াল না। বাক্যগঠনটা ঠিকমতো হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দিকে আমিও (ওই প্রশ্নটার অর্থ) বুঝতে পারিনি। অনেকবার পড়েছিলাম। পরে বাংলার প্রশ্নটা (‘মানবদেহে মোট ___________ জোড়া করোটি স্নায়ু ও সুষুম্না স্নায়ু আছে’) দেখলাম। সেটা দেখে মনে হল, আচ্ছা, এই বিষয়টা জানতে চেয়েছে।’
বাক্যগঠনও ঠিকঠাক হয়নি প্রশ্নপত্রে, উঠল অভিযোগ
তবে সেটা নেহাতই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ইংরেজির প্রশ্নপত্রে একাধিক ক্ষেত্রে এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হিন্দু স্কুলের শিক্ষক বলেছেন, ‘অনুবাদের মানটা আরও একটু ভালো হওয়া উচিত ছিল। ইংরেজির প্রশ্নপত্রে অনেক ক্ষেত্রে বাক্যগঠন ঠিকঠাক হয়নি। যারা ইংরেজিতে পরীক্ষা দিয়েছে, (তাদের অসুবিধা হবে)। তারা নিশ্চয়ই বিষয়টা নিয়ে বলবে।’
যদিও বিষয়টি নিয়ে আপাতত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এমনিতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বাংলা মাধ্যমের পড়ুয়াদের জন্য বাংলা ভাষায় প্রশ্ন থাকার পাশাপাশি ইংরেজিতেও প্রশ্ন করা হয়। প্রথমে বাংলার প্রশ্নপত্র থাকে। তারপর থাকে ইংরেজির প্রশ্নপত্র। বাংলায় যেহেতু অধিকাংশ পড়ুয়া পরীক্ষা দেন, তাই ইংরেজির প্রশ্নপত্রের এরকম গলদের বিষয়টি নিয়ে এখনও বেশি হইচই হয়নি বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।