বোনের হয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে এসেছিল কলেজছাত্রী দিদি। কিন্তু বমাল ধরা পড়ল দিদি। একজন কলেজ পড়ুয়া হয়ে কেন এমন করল সে? উঠছে প্রশ্ন। হুগলি জেলার চণ্ডীতলায় এখন এটাই চর্চিত বিষয়। চণ্ডীতলা গরলগাছা বালিকা বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে দেখে সন্দেহ হয় পরীক্ষকদের। তারপর অ্যাডমিট কার্ডের ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে দেখা যায়, মুখের অমিল রয়েছে। তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে পড়ে প্রকৃত সত্য। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। দু’একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া মোটের উপর মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন ভাল করেই শেষ হল বলে পর্যবেক্ষণ পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
এদিকে কুমিরমোরা আরকেএন হাইস্কুলের এক ছাত্রীর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তার দিদি। পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকা পর্যবেক্ষক জানতে পারেন পরীক্ষার্থী ভুয়ো। তাই তাকে পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বের করে নিয়ে যায় চণ্ডীতলা থানার পুলিশ। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অভিযুক্ত তরুণীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় চণ্ডীতলা থানার পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, তরুণী কলেজে পড়াশোনা করে। তার বোন এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কুমিরমোরা আরকেএন হাইস্কুলের ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষাকেন্দ্র পড়েছে গরলগাছা বালিকা বিদ্যালয়ে। কিন্তু বোনের বদলে সে পরীক্ষা দিতে যায়।
আরও পড়ুন: পান্ডুয়ায় সমবায় নির্বাচনে খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি, সব আসনে জয় তৃণমূলের
অন্যদিকে মাধ্যমিক পরীক্ষার ইমারজেন্সি রেসপন্স টিমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৌশিক শীল চণ্ডীতলা থানায় এসে বলেন, ‘গরলগাছা বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষার সিট পড়েছে কুমিরমোরার আরকেএন হাইস্কুলের ছাত্রীদের। আর ওই ছাত্রীর হয়ে তার দিদি পরীক্ষা দিতে ঢুকে পড়ে। পরীক্ষক যিনি ছিলেন, তিনি অ্যাডমিট কার্ডের সঙ্গে পরীক্ষার্থীর মুখের মিল খুঁজে পাননি। তখনই ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। খবর দেওয়া হয় থানায়। ওই পরীক্ষার্থীর দিদি এই তরুণী। বোনের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল। পুলিশকে আমরা সমস্ত কিছু জানিয়েছি। শিক্ষা দফতর এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসারদেরও জানানো হয়েছে। এখন আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’
এছাড়া এই বিষয়ে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সূত্রে খবর, শিক্ষা দফতর থেকে নির্দিষ্ট করে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চলতি বছর যদি কোনও পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়ে তার জন্য আলাদা করে সিক রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে। এই বছর রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ৬২,১১৭ জন বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়, ৯৩ হাজার ৬৮ জন। তার পর উত্তর ২৪ পরগনা, ৮৮ হাজার ৯৫০ জন এবং মুর্শিদাবাদ ৮৪ হাজার ২২৮ জন।