করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশ। ছোবল বসিয়েছে এরাজ্যেও। এই ‘ট্রিপল মিউট্যান্ট’ ভাইরাসের সংক্রমণে, রোগীদের অত্যাধিক মাত্রায় শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়েছে। ফলে, যেখানে রোগীদের বাঁচাতে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহের প্রয়োজন রয়েছে, সেখানে টান পড়েছে যোগানে।
এই অবস্থায় অক্সিজেনই সব চেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যেই বহু জায়গা থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর আসছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অক্সিজেনের অভাবকেই রোগীমৃত্যুর জন্য দায়ী করা হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, যে তুলনায় অক্সিজেনের প্রয়োজন রয়েছে, সেই পরিমাণে তা পাওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন সংস্থা নিজেদের মতো করে অক্সিজেন তৈরি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তার সত্ত্বেও চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ চিকিৎসকমহলের।
এই কঠিন পরিস্থির মধ্যেও মহেশতলার একটি জাপানি অক্সিজের তৈরির কারখানা আশার আলো দেখাচ্ছে। আগে তিন শিফট মিলিয়ে যে পরিমাণে অক্সিজেন তৈরি করত তাঁরা, এখন তার চেয়ে ঢের বেশি অক্সিজেন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে তাঁরা। কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে অক্সিজেনের চাহিদা মিটিয়ে চলেছে এই সংস্থা।
এয়ার ওয়াটার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামের এই সংস্থার প্লান্ট ম্যানেজার নয়ন দে জানান, যে পরিমাণ সিলিন্ডার প্রতিদিন এখান থেকে বাইরে পাঠানো হত, এখন তার চেয়ে অনেক বেশি সিলিন্ডার তারা পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন। সংস্থার দাবি, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই কাজ করে চলেছেন তাঁরা। সেজন্য এখন তারা যে পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করছেন, তাতে রাজ্যে অক্সিজেনের অভাব হওয়ার কথা নয়। অর্থাৎ বলাই বাহুল্য, করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় মহেশতলার এই জাপানি অক্সিজেন উৎপাদনকারী সংস্থাই আশার আলো দেখাচ্ছে।