আজ, তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাই। কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেছেন শহর কলকাতার ধর্মতলার প্রাণকেন্দ্রে। আর এই হাইভোল্টেজ সমাবেশ হচ্ছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার পর। এই আবহে মহেশতলায় বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এলাকার এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পিছনের গেটে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেন বাড়িতে। খবর যায় মহেশতলা থানায়। দেহ উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ওই বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এই খবরে এলাকায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত বিজেপি কর্মীর নাম তাপস মণ্ডল (৩৬)। তিনি মহেশতলার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের দুই নম্বর দৌলতপুর কাছারি বাগান এলাকার বাসিন্দা। এলাকার মানুষের সঙ্গে তাপসের যোগাযোগ ছিল। আর এলাকায় সবাই তাঁকে চিনতেন। যদিও তাপস মণ্ডল পেশায় গাড়ির চালক ছিলেন। আর এলাকায় বিজেপি কর্মী বলেই তিনি পরিচিত ছিলেন। তাঁর দেহ বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পিছনে মেলে। স্থানীয় বাসিন্দারা তা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তাঁকে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর নাম না করে নিশানা করলেন অভিষেক, একুশের মঞ্চ থেকে কী বার্তা দিলেন?
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই যুবক নেশার সঙ্গে জড়িয়ে থাকতেন। ওই যুবক ঘটনার সময় একাই ছিলেন। ওই কলেজের গেটের কাছে তাপস মণ্ডল পড়ে যান। যদিও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই জানা যাবে মৃত্যুর কারণ বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে পরিবারের পক্ষ থেকে ওই যুবকের পাঁচ সঙ্গীর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ। তবে এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি–তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। খুন নাকি পড়ে গিয়ে মৃত্যু সেটা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তবে ২০২৩ সালের দোল উৎসবের দিন ওই বিজেপি কর্মী যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। তখন ওই যুবকের পরিবার এবং বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল তাপস মণ্ডল বিজেপি করে বলেই তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন তাঁকে মারধর করেছে। তবে তাঁকে খুন করার মোটিভ কী? উত্তর খুঁজছেন পুলিশ অফিসাররা। এলাকার মানুষজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তে নেমেছে মহেশতলা থানার পুলিশ।