এ তো সন্দীপ ঘোষ- মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে একটি পুজো মণ্ডপে অসুরকে দেখে এমনই বললেন নেটিজেনদের একাংশ। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁরা তো শিল্পীকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। যদিও বহরমপুরের যে স্বর্গধাম সেবক সংঘ পুজো কমিটির পুজোয় সেই ‘অসুর’ তৈরি করা হয়ছে, সেখানকার শিল্পী অসীম পাল দাবি করেছেন যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে মাথায় রেখে অসুরের মূর্তি তৈরি করেননি। কেউ যদি তাঁর বানানো অসুরের সঙ্গে সন্দীপের মুখের মিল খুঁজে পান, তাহলে সেটা নেহাতই কাকতলীয়। যে সন্দীপকে আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলার পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
নেটিজেনরা অবশ্য সেইসব বিষয়ে কান দিতে চাননি। এক নেটিজেন বলেন, ‘এটাই সঠিক অর্থে অসুর বধ। এবারের অসুর তো আক্ষরিক অর্থেই সন্দীপ।’ অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘যে শিল্পী বানিয়েছেন, তাঁর চরণে কোটি-কোটি কোটি প্রণাম। মায়ের আশীর্বাদে উনি যেন ভালো থাকেন। জয় মা দুর্গা।’ একজন আবার বলেন, ‘যে বানিয়েছেন, তাঁকে অনেক-অনেক ধন্যবাদ।’ একইসুরে অপর একজন বলেন, ‘অসাধারণ শিল্পকে ধন্যবাদ জানাই।’
‘শুধু একটা চশমার দরকার ছিল’, বলল নেটপাড়া
কেউ-কেউ আবার বলেছেন, ‘শুধু একটা চশমার দরকার ছিল।’ অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘চশমাটা নেই শুধু। বাকি পুরো মুখটা এক।’ এক নেটিজেন বলেন, ‘শিল্পীকে কুর্নিশ। মহিষাসুর যেন সন্দীপ ঘোষ।’ একজন বলেন, ‘ভাই কেউ একটা চশমা পরিয়ে দে।’ একজন আবার আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, ‘ধুসস..থুতনির কাছে বিউটি স্পটের মতো তিলটাই তো মিসিং! এরকম করলে কিন্তু খেলা হবে না!’
'কঠোর শাস্তি চাই', উঠল দাবি
যদিও অসুরের মুখের সঙ্গে সন্দীপের মিল আছে কিনা, তা নিয়ে অনেকেই মাথা ঘামাতে চাননি। তাঁদের একটাই দাবি, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচার চাই। তেমনই এক নেটিজেন বলেন, ‘সত্যি বলতে এতে হাসির কিছুই নেই। বিচার কী হল, সেটাই আসল। একে দেখলে কেবল রাগ আর ঘৃণা ছাড়া কোনও সুস্থ মানুষের হাসি আসতে পারে না। কঠোর শাস্তি না হলে এত প্রতিবাদ সব বৃথা হয়ে যাবে।’
‘কবে শাস্তি পাবে এই অসুর?'
অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘কবে শাস্তি পাবে এই অসুর, সেই অপেক্ষায় আছি সবাই।’একজন আবার বলেছেন, 'ভাবতেই পারিনি এটা সন্দীপ ঘোষ... কিন্তু একদম ঠিক হয়েছে। দেখতে যেতাম। পুজোটা কোথায়?'