তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে সরব হলেন দলেরই অঞ্চল সভাপতি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার পরদিনই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। ফেসবুকে ভাইরাল একটি ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। অভিযোগকারী তৃণমূল নেতাকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী কাটমানি নিচ্ছেন। ভাইরাল একটি ভিডিয়োতে এমনই কথা বলতে শোনা যায় পূর্ব মেদিনীপুরের নাটশাল ২ নম্বর অঞ্চল সভাপতি কমলাকান্ত মণ্ডলকে। এই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। বুধবার কমলাকান্তকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এর পর তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। এতে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। অভিযুক্তকে না ডেকে অভিযোগকারীকে কেন থানায় ডাকা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরেই।
অনুব্রত প্রভাবশালী, রায়ের আদেশনামায় সোজাসাপটা লিখে দিলেন বিচারক
তিলকবাবুর দাবি, অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসব অভিযোগ করছেন কমলাকান্ত। ওদিকে অঞ্চল সভাপতি কমলাকান্ত মণ্ডলকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের বিরোধিতা করেছেন তৃণমূলের মহিষাদল ব্লক সভাপতি আহমেদ আলি। তিনি বলেন, অভিযুক্তকে ডাকার আগে অভিযোগকারীকে ডাকা হল কেন? এতে তাঁর মানহানি হয়েছে।
বিজেপির দাবি, লাগাতার কাটমানি তুলতে তুলতে আর মানুষের সামনে গিয়ে দাঁড়াতে পারছেন না তৃণমূল নেতারা। তাই তারা এবার এ ওর নামে দোষ দিয়ে পার পেতে চাইছে। কাটমানির বখরা সবাই পেয়েছে। এদের সবাইকেই জেলে ভরতে হবে। বিজেপির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করে মানুষকে আর বোকা বানানো যাবে না।