বাংলায় এবার ‘‌মহল্লা ক্লিনিক’‌ খুলল আম আদমি পার্টি, বিনামূল্যে পরিষেবা কোথায়?

গ্রামের মানুষ যাঁরা সামান্য অসুখে চিকিৎসক পান না তাঁরা এতে উপকৃত হবেন। আবার সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা হাসপাতালে মানুষের চাপ থাকায় লাইন দিতে হয়। এখানে চিকিৎসা পেয়ে গেলে আর সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে না। বড় চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালে গেলেই চলবে।

মহল্লা ক্লিনিক (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই)

বাংলায় এবার উদ্বোধন হল অস্থায়ী মহল্লা ক্লিনিকের। নয়াদিল্লিতে এই ক্লিনিকের বেশ জনপ্রিয়তা আছে। নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই ‘‌মহল্লা ক্লিনিক’‌–এর উদ্যোক্তা। এবার আম আদমি পার্টির উদ্য়োগে মুর্শিদাবাদে এই মহল্লা ক্লিনিকের উদ্বোধন করা হল। বাংলার মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে থাকেন সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং সরকারি হাসপাতাল থেকে। তবে এখন বড় চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালে যেতে পারছেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের দৌলতে। এবার তার সঙ্গে বাড়তি সংযোজন মহল্লা ক্লিনিক। প্রত্যেক শনিবার ও রবিবার মিলে মোট ন’টি জায়গায় এই পরিষেবা দেওয়া হবে বলে খবর। আর তার জেরে প্রায় ১২০০ মানুষ বিনামূল্যে এই চিকিৎসা পরিষেবার সুবিধা পাবেন।

বাংলায় কেন মহল্লা ক্লিনিক?‌ আগে উত্তরবঙ্গে গড়ে উঠেছিল আম আদমি পার্টির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটি। তখন থেকেই বাংলায় কাজ করতে শুরু করেছিল আপ। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তাতে কয়েকটি জায়গায় প্রার্থী দিতে চায় আপ। তার পর বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে এই মহল্লা ক্লিনিক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। এই বিষয়ে আপ নেতা সোহেল রানা আলম বলেন, ‘‌আমরা চাই যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী হন। তবে সরকারে আসতে আমরা কেউ রাজনীতিতে আসিনি। ক্ষমতায় আসি বা না আসি মানুষকে তাঁর মৌলিক অধিকার দেওয়া আমাদের প্রাথমিক কর্তব্য।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সম্প্রতি নবান্নে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর তারপরই আজ, শনিবার মুর্শিদাবাদ বিধানসভার নতুন গ্রামে এই মহল্লা ক্লিনিকের আয়োজন করা হল। ১২ জন চিকিৎসকের একটি দল সেখানে চিকিৎসা করেন স্থানীয় রোগীদের। এই ঘটনার পর সোহেল রানা আলম বলেন, ‘‌দিল্লিতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে এই পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামে এই পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা।’‌

এতে মানুষের কতটা উপকার হবে?‌ গ্রামের মানুষ যাঁরা সামান্য অসুখে চিকিৎসক পান না তাঁরা এতে উপকৃত হবেন। আবার সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা হাসপাতালে মানুষের চাপ থাকায় লাইন দিতে হয়। এখানে চিকিৎসা পেয়ে গেলে আর সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে না। বড় চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালে গেলেই চলবে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে। তারপর এই মহল্লা ক্লিনিক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।