সম্প্রতি বনগাঁ সীমান্তে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের একটি লেটারহেড ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় ৩ কেজি গোমাংস নিয়ে যাওয়ার জন্য এক ব্যক্তিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এই লেটারহেড ভাইরাল হতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এনিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক এবং গোরক্ষক সেনার নিন্দা করেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
আরও পড়ুন: ‘নাগরিকত্বের জন্য আপনারা আবেদন করুন’, উপনির্বাচনের আগে সিএএ চাল শান্তনুর
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মহুয়া ওই লেটার হেডের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজের অফিশিয়াল লেটারহেডে ৩ কেজি গোমাংস নিয়ে জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আসলে লেটারহেডে বিএসএফের ৮৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কাছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাকারবারীদের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পাশ প্রদান করছেন।’ এবিষয়ে তিনি গোরক্ষক সেনা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে ট্যাগ করেছেন। প্রসঙ্গত, গো হত্যার বিরুদ্ধে বিজেপি। বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে গো মাংস বহন করার ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে শান্তনু বিজেপির মন্ত্রী হওয়ার পরেও কেন গোমাংস বহনে অনুমতি দিলেন? এই করে আসলে চোরাকারবারীদের শান্তনু মদত দিচ্ছেন বলে মহুয়া দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত স্বরুপনগর বিধানসভার হাকিমপুর এলাকায় স্থানীয়রা সাধারণত তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যের সার্টিফিকেট নিয়েই নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে চেকপোস্টের ভিতরে প্রবেশ করেন। তবে বিজেপির দাবি, সেখানে তাদের কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় না সার্টিফিকেট। তাই স্থানীয়দের শান্তনু সার্টিফিকেট দিচ্ছেন বলে দাবি করেন।
শান্তনু অভিযোগ করেছিলেন, তিনি ওই এলাকায় চেকপোস্ট দীর্ঘদিন আগেই তুলে দেওয়ার জন্য বিএসএফকে বলেছিলেন। কারণ তাতে স্থানীয় সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব নিজেদের লোকদের সার্টিফিকেট দিচ্ছে । কিন্তু সাধারণ মানুষ বা বিজেপি কর্মীরা সার্টিফিকেট না পাওয়ার কারণে বিএসএফের চেকপোস্ট দিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে বাড়িতে আসতে পারছিল না । তাই তিনি তাদেরকে সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে বাড়ির প্রয়োজনীয় সামগ্রী তারা নিয়ে যান, এটা পাচারের জন্য সার্টিফিকেট নয়। শান্তনু বলেন, ‘আমার নামে ভুল প্রচার করা হচ্ছে। আমি এই বিষয়ে আইনত ব্যবস্থা নেব । যে ব্যক্তির সার্টিফিকেট নিয়ে এই অপপ্রচার করা হচ্ছে সেই ব্যক্তির নাম জহিরুল গাজী।’ এবিষয়ে জহিরুল গাজী জানিয়েছেন, তিনি শান্তনু ঠাকুরের সার্টিফিকেট নিয়ে মাংস নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি পাচারের সঙ্গে জড়িত নন।