পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। জেলায় জেলায় ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এরই মাঝে দলীয় কোন্দলের চিন্তা ভাবাচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বকে। এই আবহে এবার পঞ্চায়েতের আগে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন মহুয়া মৈত্র। ডোমকলের সভা থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মহুয়া বলেন, ‘আপনি যদি টিকিটের প্রত্যাশী হন কিন্তু টিকিট না পান তাহলে বিরোধিতা করবেন না। শিব যেভাবে বিষপান করেছিলেন, সেভাবেই বিষপান করুন। গলায় আটকে থাকবে। আর যদি বিরোধিতা করেন লোকসভার সময় দেখবেন কপালে প্রচুর দুঃখ আছে।’
এদিকে মহুয়ার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করার কারণে শিরোনামে থেকেছেন মহুয়া মৈত্র। এই আবহে দলের কর্মীদের হুঁশিয়ারি দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, নিচু তলার কর্মীদের ওপর কি এতটুকু ভরসা নেই শীর্ষ নেতৃত্বের? প্রসঙ্গত, বিগত দিনে বিধানসভা হোক কি পুরসভা নির্বাচন, টিকিট না পেয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিদ্রোহে বারবার অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূলকে। এদিকে লোকসভার আগে পঞ্চায়েতে নিজেদের একাধিপত্য বিস্তার করে পায়ের তলার জমি আরও শক্ত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে ক্ষমতা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে কর্মীদের রেষারেষি যাতে দলীয় ভাবমূর্তি নষ্ট না করে, সেদিকে কড়া নজর ঘাসফুল শিবিরের।
এই আবহে মহুয়া বলেন, ‘এই পঞ্চায়েত ভোটটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দলকে নিজের ক্ষমতা দেখানোর জন্য অনেকে সাময়িকভাবে বিরোধী হয়ে যায়। এই জিনিসটা এবার করা যাবে না। নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য অন্য দলের সঙ্গে আঁতাত করা যাবে না।’ এদিকে ডোমকলের সভা থেকে বিজেপিকেও আক্রমণ শানান মহুয়া। তিনি বলেন, ‘বিজেপি আমাদের ওপর রাজ করছে। এটা আমাদের বুঝতে হবে। বিজেপিকে যদি হারাতে হয় তাহলে একজনের ওপর ভরসা রাখতে হবে। দশজনের ভোট কাটাকাটি হলে তাহলে আবার চব্বিশে বিজেপি বেরিয়ে যাবে। এই বিজেপি কী জিনিস আমাদের দেখা আছে। এর দূর থেকে ঘেউ ঘেউ করে। সামনে গিয়ে দাঁড়ালেই ল্যাজ গুটিয়ে পালায়। সংসদে এ ঘটনা আমি বহুবার দেখেছি।’