পরিচারিকার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল পুরুলিয়ার স্বর্ণব্যবসায়ীর বাড়িতে। এমনকী ওই স্বর্ণব্যবসায়ীর বাড়িতে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় মিলল গৃহকর্ত্রীকেও। কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটাল? সেটা জানার চেষ্টায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে ওই পরিচারিকাকে খুন করা হয়েছে। আর এই খুনের অভিযোগ বাড়িতে কর্মরত দুই কাঠমিস্ত্রির বিরুদ্ধে। যারা এখন পলাতক। পুরুলিয়া দর্জি পাড়া এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অবিলম্বে দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলেছেন মৃতের পরিবার।
ঠিক কী ঘটেছে পুরুলিয়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত পরিচারিকার নাম পার্বতী বাদ্যকার (৫৫)। তাঁর বাড়ি এই এলাকাতেই। পুরুলিয়ার স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রদীপ দাস কর্মকারের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। স্বর্ণব্যবসায়ীর স্ত্রী নন্দিতা দাস কর্মকারকেও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় নিরাপত্তার অভাব অনুভব করছেন স্থানীয়রা। পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত পরিচারিকা পার্বতী বাদ্যকর (৫৫)। স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়ির ভিতর থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীর স্ত্রীকেও রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন তিনি হাসপাতালে ভর্তি। এটা পরিকল্পিতভাবে হামলা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে। পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগন বলেন, ‘নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আপাতত দু’জন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। চলছে জেরা।’
আর কী জানা যাচ্ছে? যে দু’জনকে আটক করা হয়েছে তারা ওই বাড়ির মিস্ত্রি কিনা তা জানা যায়নি। তবে পার্বতীদেবীর ভাশুরপো শিবা বাদ্যকর বলেন, ‘আমার কাকিমা নিয়মিত ওই বাড়িতে কাজে যেতেন। আজ ওই বাড়ির মধ্যেই তাঁকে কে বা কারা খুন করেছে। কেন মারল বুঝতে পারছি না। আমার কাকিমা ওদের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পড়েছিল।’