হেমতাবাদে বিধায়ক মৃত্যু কাণ্ডের পর চোপড়ায় কিশোরীর রহস্যমৃত্যুতে ফের নিজেদের পাতা ফাঁদে নিজেরাই পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ। অভিযুক্ত ফিরোজ আলির মৃত্যুও বিষক্রিয়ায় হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। যার ফলে তদন্তের মোড় ঘুরে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে কিশোরীর মৃত্যুও বিষক্রিয়ায় হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। ঘটনায় অভিযুক্ত ফিরোজ আলিকে খুনের অভিযোগে বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন কিশোরীর দাদা ও বাবা।
ফিরোজ আলির দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষক্রিয়ার উল্লেখ থাকায় শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। সে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে না কি তাঁকে কেউ জোর করে বিষ খাইয়েছে তার কোনও উল্লেখ নেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। ওদিকে সাত তাড়াতাড়ি নিহত কিশোরীর দাদা ও বাবাকে হেফাজতে নিয়ে ফেঁসে গেছে উত্তর দিনাজপুর পুলিশ।
গত রবিবার সকালে চোপড়ার সোনাপুর গ্রামে সদ্য মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ওই কিশোরীকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। এর পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনায় ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে ফিরোজ আলি নামে স্থানীয় এক যুবকের দিকে। মঙ্গলবার সকালে কিশোরীর দেহ যেখানে মিলেছিল তার থেকে ৫০ মিটার দূরে মেলে অভিযুক্তের দেহ। এর পর কিশোরীর বাবা ও দাদা-সহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে অভিযুক্তের পরিবার। তার পর কিশোরীর দাদা ও বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু যুবকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিষক্রিয়ার উল্লেখ থাকায় এবার পুলিশ কী করে তা দেখার।
এর আগে হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দেহের ময়নাতদন্তের আগেই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ঘোষণা করেছিলেন উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার। পরে ঘটনার তদন্তভার CID-কে দেখ রাজ্য সরকার। ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে CID. মুখ পোড়ে পুলিশ সুপারের।