উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বাহারাইলে পার্সেল বিস্ফোরণে টোটোচালক রঞ্জন রায়কে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে পেল জেলা পুলিশ। সোমবার অভিযুক্তকে রায়গঞ্জ আদালতে পেশ করলে বিচারক তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত টোটোচালকের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছেন তদন্তকারীরা।
হেমতাবাদ থানা সূত্রের খবর, অভিযুক্ত রঞ্জন রায়কে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। কে তাঁকে ওই বিস্ফোরক ভর্তি বাক্স দিয়েছিল তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। রঞ্জন রায়ের বিবৃতি শুনে অভিযুক্তদের ছবি তোলার চেষ্টা চলছে।
শনিবার রাতে পকম্বা গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত শুক্রবার ওই ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল সে। শুক্রবার তাঁর বাবা বিষয়টি পুলিশকে জানান। এর পর পুলিশ রঞ্জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ধৃতের দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যায় একজন সওয়ারি নিয়ে বাহারাইল বাজারের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল সে। বাজারের কিছু আগে তাকে দাঁড় করায় ২ যুবক। জানায় বাবলু চৌধুরীর দোকানে পার্সেল পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল তারা। কিন্তু মোটরসাইকেলটি খারাপ হয়ে গিয়েছে। রঞ্জনকে পার্সেলটি গন্তব্যে পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেন তারা। সঙ্গে ভাড়া বাবদ দেন ১০ টাকা। এর পর পার্সেলটি বাবলু চৌধুরীর দোকানে পৌঁছে দেন তিনি। কিছুক্ষণ পর জানতে পারেন পার্সেল বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ওই ব্যক্তি।
সীমান্ত লাগোয়া ওই এলাকায় কারা পার্সেল বোমা পাঠাতে পারে তার তদন্ত করছে পুলিশ।