পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে আজ রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টা বনধ ডেকেছে বিজেপি। বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। এরই মধ্যে মালদায় বিজেপি কর্মীদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আজ সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার গাজোলের বিদ্রোহী মোড়ে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। যদিও এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে রাস্তা আটকানোর অভিযোগ তুলেছে।
জানা যাচ্ছে, বনধ সফল করতে এদিন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা গাজোলের বিজেপি বিধায়ক চিন্ময় বর্মনের নেতৃত্বে রাস্তায় নামেন। কদুবাড়ি মোড়, বিদ্রোহী মোড় ও বামনগোলা মোড়ে তারা মিছিল করছিলেন। অন্যদিকে, বনধের বিরোধিতায় পাল্টা রাস্তায় নামে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও যুব কর্মীরা। বিদ্রোহী মোড়ে দু'পক্ষ মুখোমুখি হলেই সংঘর্ষ বেঁধে যায়। দু'পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটে। বিজেপি যুব নেতা মনোতোষ সরকারের মাথা ফেটে যায়। আহত হন আরেক যুব নেতা শুভ চৌধুরীও।
স্থানীয় বিজেপি নেতা বীরেন্দ্রনাথ সরকারের অভিযোগ, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম। সেই মিছিলে তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী আচমকা আমাদের ওপরে হামলা করে। তাতে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটে যায়। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর অভিযোগ, ‘পশ্চিমবাংলায় গণতন্ত্র নেই।ভোটের নামে প্রহসন চলছে।’ বিজেপির স্থানীয় যুব নেতৃত্বের দাবি, ‘ বনধ সফল করার জন্য আমরা রাস্তায় নেমেছিলাম। তা পুরোপুরিভাবে সফল করতে পারিনি। তবে আংশিক সফল হয়েছে।’
অন্যদিকে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করা হয়েছে। গাজোল কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভঙ্কর সাহা জানিয়েছেন, ‘বিদ্রোহী মোড়ে আমাদের কিছু সমর্থক যাচ্ছিল। সেই সময়ে তাদের আটকে রাখে বিজেপির দুষ্কৃতীরা। আমরা ঘটনাস্থলে গেলেই হাতাহাতি বেঁধে যায়। এ ছাড়া আর কিছু নয়।’