বর্ষার শুরুতেই দার্জিলিংয়ের বিজনবাড়িতে বড়সর ধস। ধসের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে যায় পাহাড়ি রাস্তা। একাধিক বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্তত ৩০টিরও বেশি পরিবার প্রবল ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টির মধ্যে এদিন বিজনবাড়ি ব্লকের মাজুয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় আচমকা ধস নামে। ধসের ভয়াবহতা এতটাই যে পিচের রাস্তাও ধসে গিয়ে বিশাল এলাকা জুড়ে গর্ত তৈরি হয়। রাস্তা ধসে যাওয়ায় বিজনবাড়ি ব্লকের সঙ্গে পঞ্চায়েতের ধস কবলিত এলাকার যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। একাধিক বাড়ির ধার বরাবর বিস্তীর্ণ এলাকা ধসে গিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ধস নামার জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন, দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর। এদিকে গোটা ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন বাসিন্দারা। জিএনএলএফ নেতা সন্দীপ লিম্বু গোর্খার দাবি, ভয়াবহ ধস নেমেছে মাজুয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। গত বছরেও একই অবস্থা হয়েছিল। তারপরেও উদাসীন জেলা প্রশাসন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিবার বর্ষা এলেই ভয়াবহ ধস নামে বিজনবাড়ির বিভিন্ন এলাকায়। প্রতিবারই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে একের পর এক পরিবার। তারপরেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। প্রসঙ্গত এর আগে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে দার্জিলিংয়ের সুখিয়াতে প্রবল ধসে একটি বাড়ি চাপা পড়ে যায়। এর জেরে ওই বাড়িতে থাকা দম্পতির মৃত্যু হয়েছিল। তার পরের বছর ২০২০ সালের জুন মাসে বিজনবাড়িতে ভয়াবহ ধস নামে। সেবারও বিস্তীর্ণ এলাকা ধসে যায়।সেই সময় ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের পাগলাঝোরাতেও ধসের জেরে রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।