পর্যাপ্ত লাইফ জ্যাকেট নেই। নৌকা তো অনেক দূরের কথা। হাতে গোনা কয়েকজন সিভিল ডিফেন্স কর্মী। মাল নদীতে বিসর্জনের সময় এই পরিকাঠামো নিয়েই ময়দানে নেমেছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। এরপর যখন মাল নদীতে আচমকা জল বাড়়তে শুরু করে তখন কার্যত অসহায়ের মতো তাকিয়ে দেখলেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। চিৎকার, ছোটাছুটি ছাড়া বাস্তবে করার কিছুই ছিল না তাঁদের। এদিকে গোটা ঘটনা নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে নবান্ন।
সংবাদমাধ্যমের সামনেও তাঁদের অসহায়তার কথা জানিয়েছেন সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। মাত্র ৮জন সিভিল ডিফেন্স কর্মী ছিলেন বিসর্জনের সময়। আর একের পর এক প্রতিমা বিসর্জনের গাড়়ি নদীগর্ভে নেমে পড়ে রাতে। এমনকী নদীর মধ্যে নেমে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন অসংখ্য মানুষ। সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মী সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন, বেশি কর্মী ছিল না। শুধু দড়ি ছিল আমাদের কাছে। দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, বিসর্জনের ব্যাপারটি হয়তো অতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়নি। তবে কিছুদিন আগেই ওখানে একটা ট্রাক ভেসে গিয়েছিল হড়পা বানে।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ, স্থানীয় মানুষরা ছিলেন। সকলে মিলে উদ্ধারকাজ হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জনবারলা বলেন, উদ্ধারের কোনও উপকরণই ছিল না। আগে থেকে তৈরি থাকলে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। ছোট বাচ্চারা ভেসে গেল। মাত্র ৮জন কর্মী দিয়ে কী হবে?
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, অনেকেই বলছেন নদীতে কেন নামতে দেওয়া হল? আবার নামতে দেওয়া না হলে বলা হত সরকার ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বাধা দিচ্ছে। একটা ঘটনা ঘটেছে। স্বাভাবিকভাবে একটা আবেগের ব্যাপার থাকে। হঠাৎ করে হয়েছে। আবার ঠিক হয়ে যাবে।