পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত থানা এখন তৃণমূলের দখলে। বিরোধীদের দাবি মেনে নিয়ে প্রকাশ্যে ঘোষণা করলেন বীরভূমে অনুব্রতর ডেপুটি তথা তাঁর আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায়। এদিন বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার সামনে এক জনসভার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন তিনি।
এদিন এক সাংবাদিক মলয়বাবুকে প্রশ্ন করেন, ‘বিজেপির অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন বলে দুবরাজপুর থানাটাকে তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি অফিস তৈরি করেছেন।
জবাবে মলয়বাবু বলেন, 'দুবরাজপুর থানা কেন? পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত থানাই তো তৃণমূলের দখলে। তৃণমূলই তো আছে, আর আছেটা কে? অন্য কোনও দলের অস্তিত্ব নেই তাহলে তৃণমূল ছাড়া আর কে থাকবে’?
রাজ্যের থানাগুলির ওপর তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ নতুন নয়। থানাই যে তাদের ক্ষমতার উৎস তা এর আগেও ঠারে ঠোরে জানিয়েছেন বহু তৃণমূল নেতা। কিন্তু প্রকাশ্যে সদর্পে সেকথা ঘোষণা করতে শোনা যায়নি তাদের। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেছে, থানায় গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয় না। অভিযোগ নিলেও আক্রান্তদের বিরুদ্ধে অভিযুক্তদের দিয়ে পালটা মামলা করায় তারা। রাজ্য পুলিশকে ‘মমতা পুলিশ’, ‘চটিচাটা পুলিশ' বলে নিয়মিত আক্রমণ করে থাকেন বিরোধীরা।
২০২১ সালের ভোটপরবর্তী হিংসার পর রাজ্যে সমীক্ষায় এসেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ফিরে গিয়ে রিপোর্টে তারা লিখেছিল, পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নয়, শাসকের আইন চলছে। এদিন কার্যত সেকথা স্বীকার করে নিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয়বাবু।